‘সকলের’ সামনে কেঁদেই ফেললেন নেইমার...

মাঠের সময়টা কাটছে দুর্দান্ত। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে পিএসজির জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে ফুল ফোটাচ্ছেন নেইমার। গোল করছেন, করাচ্ছেন, পিএসজির খেলাটা পরিচালনা করছেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে ১১ গোল করেছেন পিএসজির হয়ে। জাতীয় দল ব্রাজিলের হয়েও উড়ন্ত পারফরম্যান্স নেইমারের। কিন্তু মাঠের বইরের বিতর্ক থেকে যেন মুক্তি মিলছেই না ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের। সেটা সহ্য না করতে পেরেই হয়তো কাল কেঁদে ফেললেন সকলের সামনে!

গতকাল শুক্রবার রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে জাপানের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। নেইমারের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে জাপানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। তবে মাঠে আলো ছড়ালেও মাঠ ছেড়ে সংবাদ সম্মেলনে বসতেই নেইমারের দিকে আক্রমণের পর আক্রমণ।

পিএসজিতে গিয়েই এডিনসন কাভানির সঙ্গে দ্বন্দ্বের গুঞ্জন, কোচ উনাই এমেরি সাথেও মতের অমিল হওয়ার গুঞ্জন বিষয়গুলোকে সামনে এনে নেইমারকে আক্রমণাত্বক প্রশ্নের বানে জর্জরিত করতে থাকেন ফরাসি সাংবাদিকরা। যাতে একটা পর্যায়ে কেঁদেই ফেলেন নেইমার।

নেইমারের কাছে ফরাসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের একটা পর্যায়ে ব্রাজিল কোচ তিতে উত্তর দিতে এগিয়ে আসেন। তিতের উত্তরের মাঝে কেঁদে ফেলেন নেইমার। কাঁদতে কাঁদতেই সংবদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করতে দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে।

নেইমারের পক্ষে তিতে বলছিলেন, ‘আমরা গত দেড় বছর ধরে একসঙ্গে (ব্রাজিলের হয়ে) কাজ করছি। আমাকেও একথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হতে হয়েছে যে, তিতের সঙ্গে নেইমারের ঝামেলা চলছে। আসলে অনেক ধরনের পারিপাশিক পরিবেশ থাকে এবং সেগুলোকে ঢালাওভাবে সামগ্রিক রূপ দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। আমাদের উচিত নেইমারের চরিত্র, তার স্বভাব ও বিশাল হৃদয় নিয়ে কথা বলা।’

পরে নেইমার নিজে বলেছেন পিএসজি কোচ ও কভানির সঙ্গে তার কোন ঝামেলা নেই। গল্পগুলো বানানো দাবি নেইমারের, ‘তারা (ফরাসি সাংবাদিকরা) অনেক গল্পই বানিয়েছে, যা সত্য নয়। কোচ এবং কাভানির সঙ্গে আমার কোন সমস্যা নেই। প্যারিসে সবকিছুই ভালো, আমি সেখানে সুখে আছি। আমি পিএসজিতে সেই খেলোয়াড় হতে চাই যে কিনা মাঠে সতীর্থদের জন্য সবকিছু দিতে পারে।’

নেইমার আরো বলেছেন, ‘আমি খেলায় আমার ভূমিকার গুরুত্ব জানি এবং কোচ আমার কাছে যেটা চায় তার সবটাই দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এই ধরনের বানানো গল্প আমাকে কষ্ট দেয়। মূলত মানুষ প্রতিদিনের ঘটনাগুলো জানে না তাই এমন নির্বোধের মতো কথা বলে। আমি গসিপ এবং এ ধরনের গল্প পছন্দ করি না।’