মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগ, প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের নাচিয়ে ছাড়ছেন নেইমার, আক্রমণভাগে এসে গোল করছেন, করাচ্ছেন। সুযোগ সন্ধানি এডিনসন কাভানি সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাচ্ছেন। কিলিয়ান এমবাপ্পে গতি আর শক্তির জোড়ে কাঁপাচ্ছেন। দানি আলভেজ, থিয়েগো সিলভারা ওপাশে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। চলতি মৌসুমের প্রথম থেকে পিএসজির ম্যাচে এই দৃশ্যগুলো নিয়মিত দেখা গেছে।
কালও তার পূণরাবৃত্তি ঘটল। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে কাল স্ত্রাসবুর্গকে নিয়ে স্রেফ ‘খেলা করলেন’ নেইমার, কাভানিরা। ঘরের মাঠে স্ত্রাসবুর্গকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। জয়টা ফ্রান্সের বর্তমান সেরা ক্লাবটির সমর্থকদের মনে হয়তো বড় একটা আফসোসেরও জন্ম দিচ্ছে! রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে কোথায় ছিল এই পিএসজি!
কাল স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে পিএসজির খেলা দেখে মনেই হলো না যে কদিন আগেই রিয়ালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে এসেছে এই দল। ৬৪ শতাংশ বলের দখল ধরে রেখে আক্রমণের পর আক্রমণে স্ত্রাসবুর্গকে রীতিমতো চ্যাপ্টা করে রেখেছিলেন নেইমার-ডি মারিয়ারা। কিলিয়ান এমবাপ্পের জায়গায় কাল শুরুর একাদশে ডি মারিয়াকে নামিয়ে দিয়েছিলেন পিএসজি কোচ উনাই এমেরি। সেটাও পিএসজির অতি আক্রমণের কারণ হতে পারে। ম্যাচে গোলবারে ১৯টি শট নিয়েছে পিএসজি ফুটবলাররা।
তার মধ্যে সফল শট ম্যাচের দশম মিনিটে। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে পিএসজিকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। ৬ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্ত্রাসবুর্গ। ২১ মিনিটে গিয়ে নেইমার যে কায়দায় দ্বিতীয় গোলটি করলেন তাতেই মনে হচ্ছিল রিয়াল দুঃখ ভুলতেই মাঠে নেমেছে পিএসজি! আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার সেলসোর ক্রস ধরে একজনকে ফাঁকি দিয়ে দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন নেইমার।
কিন্তু গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন ওই শট। তবে বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। নেইমার আবারও বল ধরে জালে ঠেলে দেন। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষের ফুটবলারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে দারুণ এক গোল করেন ডি মারিয়া, ৩-১। দ্বিতীয়ার্ধে ছয় মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল তুলে নিয়ে পিএসজির বড় জয় নিশ্চিত করেছেন এডিনসন কাভানি। কাভানির দুই গোলের একটি নেইমারের বানিয়ে দেওয়া। ৬৭ মিনিটে স্ত্রাসবুর্গ আরেকটি গোল পরিশোধ করলে শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।