দুদিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে। যদিও দুই গোলে পিছিয়ে থাকা পিএসজি নেইমারকেও পাচ্ছে না ওই ম্যাচে, তারপরও রিয়ালের জন্য সেটাই ‘আসল লড়াই’। আসল লড়াইয়ের আগে আর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না গিয়ে সেরা একাদশটাই আজ নামিয়ে দিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। যাতে গেটাফের বিপক্ষে দাপুটে একটা জয়ই পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
চার দিন আগে এস্পানিওলের বিপক্ষে সেরা একাদশের বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন জিদান। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমাদের বাইরে রেখে খেলতে নেমে এস্পানিওলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাতে হয়েছিল। রোনালদো-বেনজেমারা ফিরতেই আজ গেটাফের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল। বিশ্রাম কাটিয়ে ফিরেই জোড়া গোল করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অপর গোলটি গ্যারেথ বেলের।
কাঙ্ক্ষিত একটা রেকর্ডও নিজের নামে লিখে নিয়েছেন আজ রোনালদো। অনেক আগে থেকেই লা লিগার দ্রুততম তিনশ গোলের রেকর্ডটি ডাকছিল তাকে। আজ গেটাফের বিপক্ষে প্রথম গোলটি করে দ্রুততম তিনশ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। নিজের ২৮৬তম ম্যাচে এসে তিনি এই রেকর্ডটি গড়লেন। এর আগের রেকর্ডটি ছিলো মেসির দখলে, ৩২৬ ম্যাচে।
ঘরের মাঠে গেটাফের বিপক্ষে প্রথম থেকেই দারুণ ফুটবল খেলেছে রিয়াল। ৭৭ শতাংশ বলের দখল ছিল জিদানের ছাত্রদের। গোলপোষ্টে রিয়াল ফুটবলাররা শট নিয়েছে ১৪টি। অপর দিকে গেটাফে শট নিতে পেরেছে মাত্র ৪টি, বুঝুন এবার। প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে গ্যারেথ বেলের গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে করিম বেনজেমার পাস ধরে রোনালদোর দুর্দান্ত এক গোল। ২-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার দশজনের দলে পরিণত হয় গেটাফে। তারপর বল দখল বা আক্রমণে রিয়ালের কাছে পাত্তাই পায়নি সফরকারী দলটি। কিন্তু তারপরও ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দেয় গেটাফে, ২-১। তবে ৭৮ মিনিটে মার্সেলোর দারুণ ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করে রিয়ালকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন রোনালদো। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে রিয়াল। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে বার্সেলোনা।