চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে আর মাঠে নামা হবে না নেইমারের। তার শূণ্যতা পূরণের জন্য কতো চিন্তাই করছেন পিএসজি কোচ উনাই এমেরি! ডি মারিয়াকে নেইমারের জায়গায় ‘সেট’ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন। আক্রমণভাগে বিকল্প বাড়াতে কাল এক প্রেসিডেন্টের ছেলেকেও মাঠে নামিয়ে বাজিয়ে দেখতে চাইলেন এমেরি।
তোয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে পিএসজির আক্রমণভাগে বদলি হিসেবে তিমোথি উইয়াহকে নামিয়ে দিয়েছিলেন এমেরি। পিএসজি কোচের পরিকল্পনা হয়তো এমন, নেইমারের মতো আক্রমণভাগের অন্য কারো যদি সমস্যা হয় তাহলে যেন শূণ্যতা পূরণের জন্য প্রস্তুথ থাকতে পারেন তিমোথি। ১৮ বছর বয়সী তিমোথি মাঠে নামার সময় হালকা একটা করতালি হয়ে গেল গ্যালারিতে। তরুণ ফরোয়ার্ডের পরিচয় যে শুধুই ফুটবলার নয়, তিনি লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ উইয়াহর ছেলে।
জর্জ উইয়াহ নামটা হয়তো মনে করতে পারছেন কেউ কেউ। রাজনীতিতে আসার আগে ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত বল পায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন লাইবেরিয়ানের হয়ে। ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, পিএসজি, মার্শেই, এসি মিলান, মোনাকোর মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবগুলোর হয়ে খেলেছেন জর্জ। স্ট্রাইকার জর্জ ক্লাব ক্যারিয়ারে ৪৭৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৯৩ গোল। ১৯৯৫ সালের সেরার স্বীকৃতি হিসবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। বর্তমানে লাইবেরিয়ার ২৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফুটবলার বাবার ছেলে তিমোথিও ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়বেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন। ফুটবল প্রতিভাও দারুণ। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে। গত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিমোথি। পিএসজির একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন। পিএসজি ‘বি’ দলের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছিলেন নিয়মিত। নেইমারের অনুপস্থিতিতে কাল সিনিয়র দলেও অভিষেক হয়ে গেল তিমোথির।
অভিষেকে গোলও পেয়ে যাচ্ছিলেন ‘প্রেসিডেন্টের ছেলে’। ম্যাচের যোগ করা সময়ে প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দারুণভাবে ঢুকে পরেছিলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে। সামনে ছিল শুধু গোলরক্ষক। কিন্তু গোলরক্ষককে পরাস্ত না করতে পারাতে গোল পাননি তিমোথি। এবার পারেননি তাতে কি, সময় তো পড়েই আছে। বাবার নামে নয়, একদিন নিজের নামেই হয়তো বিশ্বে পরিচিত হবেন তিমোথি!