সুতোয় ঝুলে আছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দুই দশকেরও বেশি সময়ের চাকরিটা। তবে চাকরি নয়, আর্সেনাল কোচ আপাতত ভাবছেন জয় নিয়ে। সমলোচনার ঝড় থামাতে একটা জয় যে খুব দরকার ফ্রেঞ্চ কোচের!
মৌসুমের মাঝপথ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু শেষ দিকে এসে আর্সেনাল সমর্থকরা ফের ‘ওয়েঙ্গার হটাও’ আন্দোলনে নেমে পড়ছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার হার ক্লাবের সমর্থকদের আন্দোলনকে দিয়েছে বাড়তি বেগ।
ইউরোপা লিগে ওস্টারসান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু। সবশেষ রোববার রাতে ব্রাইটনের মাঠে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি। এর মাঝে চার দিনের ব্যবধানে দুবার ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল। ফ্রেঞ্চ কোচের সময় যে ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে দিচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাতে সংশয়ে ওয়েঙ্গারের চেয়ার। কিন্তু চাকরি নয়, এই মুহূর্তে আর্সেনাল কোচ ভাবছেন জয় নিয়ে।
রবিরাতে ব্রাইটনের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্য প্রফেসর’ বলেছেন, ‘আজ (রোববার) আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। আর সত্যি বলতে এই মুহূর্তে আমি ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত নই। আমি ভাবছি আর্সেনালের জয় নিয়ে।’
ব্রিটিশ মিডিয়া কদিন ধরেই সংবাদ প্রচার করে আসছে যে, এই মৌসুমেই আর্সেনাল অধ্যায় শেষ ওয়েঙ্গারের। সেটা হয়তো ফ্রেঞ্চ কোচ নিজেও অনুধাবন করতে পারছেন। কিন্তু যতদিন আছেন চাকরি বাঁচাতে সম্ভাব্য সেরা চেষ্টাটাই করবেন ওয়েঙ্গার।
ব্রাইটন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আর্সেনাল কোচ বলেছেন, ‘এখানে আমি যতদিন আছি যতটা সম্ভব নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। দলের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে আমি সবকিছুই করব।’
তবে দুঃসময়ে ক্লাবের গোলরক্ষক পিওতর চেককেও পাচ্ছেন ওয়েঙ্গার। চেক প্রজাতন্ত্রের গোলরক্ষক রোববারের ম্যাচের হার তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইট করে চেক বলেছেন, ‘বিশ্বের সেরা লিগে যদি আপনি জিততে চান তাহলে এভাবে দুই গোল হজম করতে পারেন না। যেটা আজ (রোববার) আমি করেছি।’