প্রদর্শনী টুর্নামেন্ট চীনা কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উরুগুয়ে। সোমবার ফাইনালে এডিনসন কাভানির একমাত্র ও জয়সূচক গোলে ওয়েলসকে হারিয়েছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েলস।
ম্যাচের প্রথমার্ধটা কেটেছিল সাদামাটাভাবে। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় ওয়েলস ও উরুগুয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ৪৯ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র ও নির্ণায়ক গোলটি করেন পিএসজি স্ট্রাইকার কাভানি।
এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য উরুগুয়ের পক্ষে গড়ে দেয়। এ নিয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে দেশের জার্সিতে চারটি গোল করলেন তিনি। কাভানির এই গোলটা আর ফিরিয়ে দিতে পারেনি গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।
অবশ্য উরুগুয়ে লিড নিতে পারতো আরো আগে। জয়ের ব্যবধানও বাড়াতে পারতো ল্যাতিন জায়ান্টদের। কিন্তু গোলপোস্ট যে বড্ড বেরসিক হয়ে উঠেছিল। এ দিন দুই বার গোলবঞ্চিত হন উরুগুয়ের বার্সেলোনা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। দুই বার তার দুর্দান্ত শট প্রতিহত করে দেয় ওয়েলসের গোলপোস্ট।
ওয়েলসের ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে স্বপ্নের একটা অভিষেক উপহার পেয়েছিলেন রায়ান গিগস। আগের ম্যাচে স্বাগতিক চীনকে ৬-০ গোলে চূর্ণ করেছিল তার দল। ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ‘হান্ড্রেড মিলিয়নম্যান’ গ্যারেথ বেল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার উরুগুয়ের বিপক্ষে শুধুই নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন।
আগের ম্যাচে তিন গোল করা বেল এদিন থাকলেন নিষ্প্রভ। শুধু তিনি নন, ওয়েলসের কেউই গোলের দেখা পায়নি। উল্টো একটা গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। তাই ওয়েলসের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই প্রথম হারের স্বাদ পেলেন নতুন কোচ গিগস।
ওয়েলস জিতবেই বা কিভাবে, মঞ্চটা যে কাভানির জন্য প্রস্তুত ছিল। এ দিন উরুগুয়ের জার্সিতে দারুণ একটা মাইলফলক স্পর্শ করলেন পিএসজির স্ট্রাইকার। দলের পঞ্চম ফুটবলার হিসেবে খেললেন শততম ম্যাচ।
এ ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের ৪২তম গোলটা করলেন তিনি। এর চেয়ে বর্ণিলভাবে উপলক্ষটা রাঙিয়ে তুলতে পারতেন না কাভানি। মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সতীর্থ সুয়ারেজও। ওয়েলসের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৯৭তম ম্যাচ খেললেন বার্সেলোনা স্ট্রাইকার।