অনেক আগেই একচ্ছত্র আধিপত্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে সেরা চারে থাকার লড়াইটা অবশ্য জমে উঠেছিল। কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে এসে পা হড়কালো গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চেলসি।
টানা চার ম্যাচ পর থেমে গেল পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটির জয়রথ। বুধবার ঘরের মাঠ হাডার্সফিল্ডের কাছে ১-১ গোলে ড্র করেছে চেলসি। এই ড্রয়ে অবনমন এড়ালো হাডার্সফিল্ড। ব্লুজরা অবশ্য হার এড়িয়েছে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি লন্ডনের আরেক ক্লাব আর্সেনালের। লেস্টার সিটির মাঠে ৩-১ গোলে হেরে গেছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল।
প্রতিবেশী দুই ক্লাবের হতাশার রাতটা বেশ আনন্দে কেটেছে টটেনহাম হটস্পারের। এদিন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নিউক্যাসলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। ৫০ মিনিটে স্পার্সদের হয়ে ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেন।
এই জয়ের ফলে আগামী মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেল টটেনহামের। একই সঙ্গে লিভারপুলকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে তারা। ৩৭ ম্যাচে তাদের অর্জন ৭৪ পয়েন্ট। তাদের পেছনে আছে যথাক্রমে লিভারপুল (৭২), চেলসি (৭০) ও আর্সেনাল (৬০)।
লিগ টেবিলে যথারীতি শীর্ষে আছে চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এদিন তারা ব্রাইটনের বিপক্ষে ৩-১ গোলের সহজ জয় তুলে নিয়েছে। এই জয়ে লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পয়েন্ট জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল পেপ গার্দিওলার সিটি।
ঘরের মাঠে বিদায়ী ম্যাচে সম্ভাব্য সেরা উপহারটাই পেলেন সিটির আফ্রিকান তারকা ইয়া ইয়া তোরে। ২০০৪-০৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৯৫ পয়েন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হোসে মরিনহোর চেলসি। যেখানে সিটির অর্জন হলো ৯৭ পয়েন্ট।
রোববার সাউদ্যাম্পটনকে হারাতে পারলে লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে পয়েন্টের সেঞ্চুরি গড়তে পারবে সিটিজেনরা। অবশ্য সিটির পয়েন্টের সেঞ্চুরি হবে কিনা সেটা এখনই নিশ্চিত নয়, তবে ইতোমধ্যেই গোল সংখ্যায় তিন অংক ছুঁয়ে ফেলেছে সিটি।
বুধবার রাতে তো চেলসির আরো একটি রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে ম্যানচেস্টার জায়ান্টরা। লিগে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১০৫টি গোল করেছেন গার্দিওলার শিষ্যরা। সেখানে ২০০৯-১০ মৌসুমে ১০৩টি গোল করেছিল চেলসি।