ফাউল হবে, এটা মেনেই এগোচ্ছে ব্রাজিল

ঘটন-অঘটনের বিশ্বকাপে হোঁচট খেয়ে মিশন শুরু করেছে শিরোপা প্রত্যাশি ব্রাজিল। রোববার রোস্টভ এরিনায় সেলেকাওদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ইউরোপিয়ান পরাশক্তি সুইজারল্যান্ড। শুরুর ম্যাচে ড্রয়ের হতাশা তো আছেই, ব্রাজিলিয়ান শিবিরে যুক্ত হয়েছে শারীরিক ফুটবলের আক্রমণাত্মক মেজাজের আতঙ্কও। 

প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ফুটবলারদের কড়া ট্যাকলের শিকার হয়েছে ব্রাজিল। পুরো ম্যাচে ব্রাজিলিানদের ১৯ বার ফাউল করেছে সুইস ফুটবলাররা। নেইমারই দশবার শিকার হয়েছেন ফাউলের।

যা নেতিবাচক ফুটবলের সীমা ছাড়িয়েছে। গত ২০ বছরের মধ্যে কোনো ফুটবলার এক ম্যাচে এতবার ফাউলের শিকার হননি। ম্যাচে নেইমার যে সুইসদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন, সেটা বলে দিচ্ছে এই তথ্যটাই।

ইনজুরির কারণে দীর্ঘ তিন মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে নেইমারকে। পিএসজি স্ট্রাইকারের বিশ্বকাপ খেলা নিয়েও ছিল সংশয়। শঙ্কার কালো মেঘ কাটিয়ে নেইমার ঠিকই ফিরেছেন বিশ্বকাপে, কিন্তু শতভাগ ফিট নন তিনি। দলের প্রাণভোমরা এভাবে সুইসদের শরীরী ফুটবলের শিকার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ব্রাজিল।

সেই হতাশাটা এখন রীতিমতো আতঙ্কে রূপ নিচ্ছে সেলেকাও শিবিরে। সোমবার ব্রাজিল মিডফিল্ডার ফিলিপ্পে কুতিনহো বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড আমাদের অনেক আঘাত করে খেলেছে। কিন্তু আমার মনে হয় এমনটা সব ম্যাচেই হবে। এটা বিশ্বকাপ। তাই প্রত্যেকেই ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করবে। এ রকম হবে সেটা ভেবেই আমাদের এগোতে হবে।’

বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই গোল করেছেন নেইমার। কিন্তু মূলপর্বের লড়াইয়ে তিনি খেললেন নিজের ছায়া হয়ে। কুতিনহোর দাবি সুইসদের অতিমাত্রার ফাউলের কারণে নেইমার নিজের খেলাটা খেলতে পারেননি। বার্সেলোনা মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আপনারা ম্যাচ চলাকালীন দেখেছেন কীভাবে নেইমারকে ক্রমাগত ফাউল করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের অনর্থক ফাউলেরও শিকার হয়েছেন তিনি।’