পরিসংখ্যানে এই মৌসুমে বার্সা

এই মৌসুমের শুরু থেকেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে বার্সেলোনা। ব্যর্থতার জের ধরে প্রধান কোচ এরনেস্তো ভালভার্দেকে অব্যাহতি দিয়েছে কাতালানরা। নতুন কোচ হিসেবে কিকে সেতিয়েনকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। কিন্তু ডাগ আউটে সংগ্রাম করতে হচ্ছে দলটির নতুন কোচকে।

মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বসেছে সেতিয়েনের বার্সা। পরে অবশ্য রিয়ালে ব্যর্থতায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফিরেও এসেছে তারা। সবমিলিয়ে বার্সার বর্তমান দলটার সঙ্গে সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার দলের পার্থক্যটা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

এক নজরে গত এক যুগের বার্সার সঙ্গে বর্তমান বার্সার পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক:

২৭ ম্যাচে বার্সেলোনার অর্জন ৫৮ পয়েন্ট। তবু দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে আছে তারা। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর ২৭ রাউন্ড শেষে বার্সার সর্বনিম্ন পয়েন্ট। এর আগে বার্সার সর্বনিম্ন পয়েন্ট ছিল ৫৪, ফ্র্যাঙ্ক রিজকার্ডের অধীনে।

এই মৌসুমে লিগে ২৭ ম্যাচে ৬৩টি গোল করেছে বার্সা। যা গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে কম গোল কাতালানদের। এর আগে বার্সার সর্বনিম্ন গোল ছিল ৫২টি।

২০০৮-০৯ মৌসুমে গার্দিওলা যুগ শুরু হয়। এরপর কখনো সেরা দুইয়ের নিচে নামেনি বার্সা। যদিও এই মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার চারেও নেমেছিল তারা।

বার্সার ডাগ আউটে কিকে সেতিয়েনের অভিষেকের ম্যাচে গ্রানাডার বিরুদ্ধে ১০০২টি পাস দিয়েছেন মেসিরা। যা লিগের ইতিহাসে এক ম্যাচে কোনো দলের সর্বোচ্চ তৃতীয় পাস সংখ্যার নজির।

২০১১ সালে ৪৪টি পাস বেশি দিয়েছিল গার্দিওলার বার্সা। লেভান্তের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটাই ছিল লা লিগার এবং বার্সার ম্যাচের সর্বোচ্চ পাস সংখ্যা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৩৫টি পাস দিয়েছে টিটো ভিলানোভার বার্সা।

এই মৌসুমে বার্সা গোল হজম করেছে ৩১টি। ম্যাচ প্রতি গোলহজম ১.১৫টি। গত নয় মৌসুমে লিগের ২৭ ম্যাচে এত গোল হজম করেনি বার্সা।

লা লিগায় এই মৌসুমে ১৯টি গোল করেছেন মেসি। এ ছাড়া সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ১২টি। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোর মধ্যে মেসির চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট আছে জ্যাডন স্যানচোর। নিজে ১৪ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ১৫টি গোল করিয়েছেন তিনি।