ইউরোর ম্যাচে ৬০ হাজার দর্শক!

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি আগ্রাসন ছিল ইউরোপীয় মহাদেশে। ধীরে ধীরে কোভিড-১৯ এর ধঁকল কাটিয়ে উঠেছে ইউরোপ। কয়েকটা দেশ তো মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে পরিস্থিতি। সেসব দেশের একটি ইংল্যান্ড। চলমান ইউরো টুর্নামেন্টের স্বাগতিক ১১টি দেশের মধ্যে ইংল্যান্ড অন্যতম। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ এখানেই হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত এবারের ইউরোতে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত হয়েছে লন্ডনের ম্যাচগুলোতে। প্রতিটি রাউন্ডেই উল্লেখযোগ্য দর্শক দেখা যাচ্ছে বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। এখানেই অনুষ্ঠিত হবে মহা গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ম্যাচ যথা- সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। ম্যাচ তিনটিতে দর্শক উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড সরকার।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা দিয়েছে, দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ স্টেডিয়ামে এসে উপভোগ করতে পারবেন ৬০ হাজার দর্শক। ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ৮০ হাজার ধারণক্ষম। আগামী ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ইউরোর চলমান আসরের ফাইনাল। তবে সব দর্শক ফাইনাল ও সেমিফাইনাল মাঠে এসে দেখতে পারবেন না।

টিকিটধারী দর্শকদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ সদন থাকতে হবে। অথবা টিকা নেওয়ার প্রমাণ থাকতে হবে। ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে দর্শকদের। আর ইংল্যান্ডের বাইরে থেকে আসা দর্শকদের অন্তত দশ দিনের হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে দিনের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে উয়েফার।

হঠাৎ করেই যুক্তরাজ্যে করোনার সংক্রমণ কিছুটা বেড়ে গেছে। তাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি ফাইনাল ম্যাচ লন্ডন থেকে সরানোর দাবি জানান। পরদিনই দর্শক বাড়ানোর ঘোষণা দিল ইংল্যান্ড সরকার। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচ ও শেষ ষোলোর একটি ম্যাচের জন্য ২২ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি আছে।

তবে ২৯ জুন প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে ৪০ হাজার দর্শক উপস্থিতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। সঙ্গে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের ৭৫ শতাংশ দর্শক মাঠে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে তারা। ইংল্যান্ড সরকারের এমন ঘোষণায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিন।