ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত বাগ-বিতণ্ডা, ধাক্কাধাক্কি, ঝগড়া নতুন কোনো কিছু বিষয়। মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেলে কখনো কখনো হাতাহাতি-কিলাকিলির ঘটনাও ঘটে। কখনো কখনো তো দুই দলের দুই খেলোয়াড়ের মাঠের সেই শারীরিক যুদ্ধ রূপ নেয় ধারাবাহিক ঝগড়ায়! ব্রাজিল তারকা নেইমার ও কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ইয়ারি মিনার মধ্যকার মাঠের শারীরিক যুদ্ধ তেমনই ধারাবাহিক ঝগড়া নাটকে রূপ নিয়েছে। গত সোমবার যেমন মঞ্চস্থ হলো নেইমার-ইয়ারি মিনার ধারাবাহিক ঝগড়া নাটকের দ্বিতীয় পর্ব!

yerry mina and neymar clashনেইমার-মিনার ঝগড়া ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব

সোমবার (বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে) দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইয়ারি মিনার কলম্বিয়া ও নেইমারের ব্রাজিল। কলম্বিয়ার বারানকুইলারে এস্তাদিও মট্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল একেবারেই ম্যাড়মেড়ে। আগের ম্যাচেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা ১০ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়া ব্রাজিলকে গোলশূন্য রুখে দেয় কলম্বিয়া। গোলহীন ম্যাচটিতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল নেইমার ও ইয়ারি মিনার ওই ব্যক্তিগত ঝগড়া-যুদ্ধ!

দুজনেই যেন একে অন্যের প্রতি পূর্বের রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণা মনের কোণে সযত্মে লালন করে পরবর্তী সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলেন! সোমবার যখন সেই সাক্ষাৎ উপলক্ষ পেয়ে যান, দুজনেই যেন শত্রুতায় শান দিয়ে নেমেছিলেন। বল দখলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হলেই দুজনে লিপ্ত হয়েছেন বাগ-বিতণ্ডায়। মেজাজ সপ্তমে চড়িয়ে কখনো ধাক্কাধাক্কিতেও লিপ্ত হয়েছেন। তবে তাদের বিরতিহীন ঝগড়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল, তেড়ে-ফুড়ে মুখে-মুখ লাগিয়ে উতপ্ত বাক্য-বিনিময়।

নেইমার বড় তারকা। বয়সেও দুই বছরের বড় ব্রাজিল তারকা। কিন্তু ব্যক্তিগত যুদ্ধে বড় বলে প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি কেউবা বিনয়ী হয়। ইয়ারি মিনাও নেইমারের প্রতি এতটুকু বিনয় দেখাননি। বরং দীর্ঘদেহী কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার বারবারই নেইমারের দিকে তেড়ে গিয়ে নিজের শারীরিক শক্তির প্রদর্শনী করেছেন! নেইমারও পিছিয়ে থাকেননি। যদিও তিনি শারীরিক শক্তিতে প্রতিপক্ষের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। দুজনের আগ্রাসী মনোভাব দেখে মনে হয়েছে, তারা ঝগড়ার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছিলেন মাঠে। পূর্বের শত্রুতার ঝাল মেটাতে হবে না! তাদের সেই একে অন্যের প্রতি ঝাল মেটানোর যুদ্ধ থামাতে কখনো রেফারিকে এগিয়ে আসতে হয়েছে। কখনো নিজ নিজ দলের সতীর্থরা তাদের নিবৃত করেছেন। কখনো বা ‘যত যর্জে তত বর্ষে না’ প্রবাদকে যথার্থতা প্রমাণ করে নিজেরাই পিছু হটেছেন সম্ভাব্য বড় যুদ্ধ হতে!

২৯ বছর বয়সী নেইমার ও ২৭ বছর বয়সী ইয়ারি মিনার এই ব্যক্তিগত যুদ্ধের প্রথম পর্বটা মঞ্চস্থ হয় গত জুনে। কোপা আমেরিকার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও কলম্বিয়া। সেই ম্যাচেই প্রথম বারের মতো একে অন্যের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন তারা। সেই রাগ-ক্ষোভ জিঁইয়ে রেখে সোমবার মঞ্চস্থ করলেন দ্বিতীয় পর্ব। এবার অপেক্ষা তাদের ঝগড়া ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্বের জন্য।

ভাগ্য ভালো থাকলে ফুটবলপ্রেমীদের সেই অপেক্ষা ফুরোতে পারে আগামী ১১ নভেম্বরই। সেদিনই যে আবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-কলম্বিয়া। চোট উড়ে এসে জুড়ে না বসলে দুজনেই ম্যাচের জন্য নিজ নিজ দলে জায়গা পাবেন, এটা নিশ্চিত। আর স্কোয়াডে থাকলে দুজনের মাঠে নামাও নিশ্চিত। নেইমার-ইয়ারি মিনার চলমান ‘ঝগড়া ধারাবাহিকে’র তৃতীয় পর্ব দেখতে হলে ফুটবলপ্রেমীদের একটাই প্রাথর্না করতে হবে, দুজনের কেউ যেন চোটে না পড়েন!

দুজনের এই ধারাবাহিক ঝগড়ায় কার দায় বেশি, সেটা নিরূপণ করা সত্যিই দুরূহ। হয়তো কারো পক্ষে সেটা নিরূপণ করা সম্ভবও না। কারণ, ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ানোর বদ-অভ্যাস দুজনেরই আছে। যদিও প্রতিপক্ষকে তেড়ে-ফুড়ে মারতে যাওয়া, নেইমারের শত্রুরাও নেইমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে পারবেন না। তবে ইয়ারি মিনা অতীতেও নিজের এই বদ-রূপটা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন। প্রথম দেখিয়েছেন ২০১৮ বিশ্বকাপে, ইল্যান্ডের বিপক্ষে। বল দখলের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুমুলভাবে বেঁধে যায় তার। ঘটনা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছেছিল। মজার ব্যাপার হলো, ওই ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পরপরই ইয়ারি মিনা বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব এভারটনে। বর্তমানেও এভারটনেই খেলছেন তিনি।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.