আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে উয়েফা ইউরোপা লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিল বার্সেলোনা। মাঠে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের উপস্থিতি কয়েকগুণ বেশি হওয়ার কারণে ক্যাম্প ন্যুতে পরবাসী মনে হয়েছে কাতালানদের। ম্যাচটাও হেরেছে তারা। তবে একটা জয়গায় বেশ লাভবান হয়েছে। টিকিট বিক্রি করে তিন মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে বার্সেলোনা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এলেনা ফোর্ট।
ক্যাম্প ন্যুতে বসেছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের মিলনমেলা
ইউরোপা লিগের প্রথম লেগে ফ্রাঙ্কফুর্টের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো খুব একটা কঠিন ছিল না লস কিউলসদের জন্য। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে সবাইকে হতাশ করে জার্মানির ক্লাবটির কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সফরকারী দল।
নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো ম্যাচে সফরকারী দলের সমর্থকদের জন্য বরাদ্দ থাকে পাঁচ হাজার টিকিট। ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বার্সেলোনাও তেমন ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ক্যাম্প ন্যু কর্তৃপক্ষকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে জার্মান দলটির সমর্থকরা। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে স্বাগতিক সমর্থকদের কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিল ৩০ হাজারের মতো ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থক!
ঘরের মাঠে ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে পাত্তা পায়নি বার্সেলোনা
বার্সেলোনা-ফ্রাঙ্কফুর্ট ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শক ছিল ৮০ হাজারের মতো। এর অর্ধেকই প্রতিপক্ষ দলের সমর্থক। যেটা পেদ্রি গঞ্জালেস, সার্জিও বুসকেটস, পিয়েরে এমেরিক আউবামেয়াংদের মাঠের খেলায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। নিজ খেলোয়াড়দের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি স্বাগতিকদের দুয়ো দিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট ভক্তরা।
নিজ দলের সমর্থকদের এমন কাণ্ডে হতাশ হয়েছেন বার্সেলোনার হেড কোচ জাভি হার্নান্দেজ। দুঃখ প্রকাশ করেছেন খোদ সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। বিষয়টি নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট এলেনা ফোর্টও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন, ‘আমাদের সচেতন হতে হবে। ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ক্যাম্প ন্যুতে আমরা যা কিছু অনুভব করেছি, তাতে আমি লজ্জিত।’