জয় দিয়েই উৎসব করার সুযোগ ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। কিন্তু জয়ের সুবাস পেয়েও ১০ জনের লেন্সের বিপক্ষে হোঁচট খেলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। তাও আবার ঘরের মাঠ পার্ক ডু প্রিন্সেসে। শনিবার রাতে প্যারিসে এসে পিএসজিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে লেন্স। তবে হোঁচট খাওয়ার পরও ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেল পিএসজির।
বল দখলের লড়াই, শেষ পর্যন্ত গোল করেন মেসি
এক মৌসুম বিরতি দিয়ে পিএসজির শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে লিগের চার রাউন্ড বাকি থাকতেই। ৩৪ ম্যাচে মাওরিসিও পচেত্তিনো দলের সংগ্রহ ৭৮ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে থাকল অলিম্পিক মার্শেই। অর্থাৎ লিগের বাকি সব ম্যাচে পিএসজি যদি হারে এবং মার্শেই জেতে তাও কোনো সমস্যা হবে না।
এবার শিরোপা জিতে পিএসজি ছুঁয়ে ফেলল সেত অ্যাঁতের ১০ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড। লিগের ইতিহাসে অন্যতম সফল দলটি অবশ্য হারিয়ে গেছে চার দশকেরও বেশি সময় আগে। সবশেষ ১৯৮১ সালে লিগ শিরোপা জিতেছিল সেত অ্যাঁত। তাদের রেকর্ডে ভাগ বসাতে খুব বেশি সময় নিল না পিএসজি। সবশেষ দশ মৌসুমের আটটিতেই লিগ শিরোপা জিতল প্যারিসিয়ানরা। তৃতীয় সফল দল মার্শেই শিরোপা জিতেছে নয়বার।
পিএসজি
পরিচিত দর্শকদের সামনে প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র করে পিএসজি। দারুণ লড়াই করতে থাকা লেন্স ধাক্কা খায় ম্যাচের ৫৭ মিনিটে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডানসো। একজন কম প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাতে খুব বেশি সময় নেয়নি পিএসজি। ৬৮মিনিটে স্বাগতিকদের প্রত্যাশিত লিড এনে দেন লিওনেল মেসি।
আর্জেন্টাইন তারকার দুর্দান্ত গোলের ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের অপেক্ষায় ছিল পিএসজি। কিন্তু ৮৮ মিনিটে ঘটে গেল অঘটন। দশজনের লেন্স খুঁজে নেয় পিএসজির জালের ঠিকানা। গোল করেন জিয়ান। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি পচেত্তিনোর দলের। শিরোপা জয়ের জন্য এক পয়েন্টই যে দরকার ছিল তাদের। ফলে ড্র করেও উৎসবে মেতে ওঠে পিএসজি।