ম্যাচের দুই অর্ধে দুই ধরনের সময় কাটিয়েছে লিভারপুল। প্রথমার্ধের বিবর্ণ রূপ কাটিয়ে বিরতির পর এভারটনক চেপে ধরে রেডরা। তাতে ফলাফলও মিলেছে। ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। সেই সাথে পয়েন্ট টেবিলের লড়াই জমিয়ে তুলেছে লিভারপুল। অপর ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে চেলসি।
জয় পেয়েছে লিভারপুল ও চেলসি
এই জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে ব্যবধান আরও কমাল লিভারপুল। ৩৩ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে পেপ গার্দিওলার দল সিটি। দ্বিতীয় স্থানে আছে লিভারপুল। আকাশী নীলদের সমান ম্যাচ খেলা দলটির সংগ্রহ ৭৯ পয়েন্ট। ৩২ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে চেলসি।
অবনমন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না এভারটনের। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে দলটি। ম্যাচজুড়ে মাত্র ১৭ শতাংশ বল দখলে নিয়ে গোলের জন্য এভারটনের নেওয়া নয় শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল একটি। বিপরীতে ১৮ শট করে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
লিভারপুল ও এভারটনের ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বসচা
অ্যানফিল্ডে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে লিভারপুল। ৬২ মিনিটে দূরের পোস্টে মোহাম্মদ সালাহর বাড়ানো বলকে হেডের মাধ্যমে জালে জড়ান অ্যান্ড্রু রবার্টসন। ৮৫ মিনিটে দলের হয়ে শেষ গোলটি করেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার ডিভক ওরিগি।
লিভারপুল এবং ম্যানসিটির লড়াইয়ের কারণে চলতি মৌসুমে চেলসির শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করাই এখন টমাস টুখেলের দলের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। গত ২১ এপ্রিল আর্সেনালের কাছে ৪-২ গোলে হারায় আত্মবিশ্বাসে কিছুটা ভাটা পড়ে দলটির।
স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধেও দেখা যায়নি চেনা চেলসিকে। এ সময় খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। স্পট কিক পেয়েও দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি জর্জিনহো। বিরতির পর খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে ব্লুজরা। একের পর আক্রমণে ব্যস্ত করে তোলে সফরকারী রক্ষণ। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ।