কিলিয়ান এমবাপ্পে থেকে যাচ্ছেন- খবরটা বাড়তি খুশি হয়ে এসেছিল মেটজের বিপক্ষে প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজির ম্যাচের আগে। হবেই না কেন, ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যকে নিয়ে যে এক বছর ধরে টানা-হেঁচড়া করেছে রিয়াল মাদ্রিদ! চুক্তির খুব কাছে থেকেও শেষতক সফল হতে পারেনি তারা। এদিকে, এমবাপ্পেকে নিয়ে পাওয়া খুশির খবরের দিনে চোখের জলে পিএসজি অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
শেষ ম্যাচে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ডি মারিয়া
পিএসজির সাথে ডি মারিয়ার চুক্তি নবায়ন হচ্ছে না, এমন গুঞ্জন আগেই শোনা গেছে। সেটা সত্য হয়েছে সম্প্রতি লিগ ওয়ান জায়ান্টদের এক বিবৃতিতে। ক্লাবটি জানায়, মেটজের বিপক্ষে ম্যাচটাই পিএসজির জার্সিতে ৩৪ বছর বয়সী ফুটবলারের শেষ ম্যাচ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুর্বিষহ সময় কাটিয়ে ২০১৫ সালের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে পিএসজিতে যোগ দেন ডি মারিয়া। এরপর রাতারাতি ক্লাবটির প্রাণভোমরা বনে যান। গত সাত বছরে ছোট বড় মিলিয়ে জিতেছেন ১৮টি শিরোপা। এরমধ্যে আছে পাঁচটি করে লিগ শিরোপা এবং ফরাসি কাপ।
চিরচেনা সেই উদযাপন
পিএসজির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৯৫ ম্যাচ খেলেছেন ডি মারিয়া। জালের দেখা পেয়েছেন ৯২বার। নিজের মূল ভূমিকা অ্যাসিস্টে ছিলেন দুর্দান্ত, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১১ গোল। পিএসজির ইতিহাসে এত অ্যাসিস্ট করে দেখাতে পারেনি আর কোনো ফুটবলার।
গত মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে লিওনেল মেসির ঠিকানা হয়েছে পিএসজি। জাতীয় দলের সতীর্থের কারণে প্যারিসের ক্লাবটিতে গুরুত্ব কমেছে ডি মারিয়ার। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ১৮ ম্যাচে শুরুর একাদশে দেখা গেছে সাবেক ম্যানইউ তারকাকে। এরপরই পিএসজিতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
সতীর্থদের আলিঙ্গন পাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা
ডি মারিয়ার বিদায়ী ম্যাচে মেটজকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। হ্যাটট্রিক করেছেন এমবাপ্পে। নেইমার জুনিয়রের সাথে একবার করে তিন কাঠির নিচে বল পাঠান ডি মারিয়া। সেই সাথে পিএসজিতে শেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখেন আর্জেন্টিনার সবশেষ কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম নায়ক।
চেনা আঙ্গিনা পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে গোলটি করেন ডি মারিয়া। মেসির নেওয়া শট প্রতিপক্ষের পোস্টে লেগে ফিরে আসলে বল পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। এক টোকায় পাঠিয়ে দেন ফাঁকা জালে। এরপর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। গোল উদযাপন করেন মুখে হাসি, চোখে জল নিয়ে।
এর কিছুক্ষণ পর ডি মারিয়াকে তুলে নেন পিএসজির হেড কোচ পচেত্তিনো। স্বাগতিক দলের সব সদস্যরা দাঁড়িয়ে আর্জেন্টাইন তারকাকে গার্ড অব অনার দেন। সতীর্থদের আলিঙ্গন করে পার্ক দে প্রিন্সেসের ডাগ আউটে যান আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়। এ সময় গ্যালারি থেকে সমর্থকরা করতালি দিয়ে বিদায় জানান তাকে।