ফেলপসকে পিছনে ফেলে সোনা স্কুলিংয়ের

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০০৮ সালের অলিম্পিকে পুলের পাশে ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলের সঙ্গে ফেলপসের ছবি। এই ছবির পাশে আরো একটা ছবি। যেটা তোলা হলো ২০১৬ সালে। যখন ১৬ বছর আগের বাচ্চা ছেলেটা ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ফেলপসকে হারিয়েই জিতলো সোনা!

ছোটবেলা থেকেই ফেলপসকে আদর্শ মেনে পুল দাপিয়ে বেরিয়েছেন জোসেফ স্কুলিং- ২০০৮ সালের সেই পিচ্চি! এবার সুযোগ পেয়ে নিজের আদর্শকেই হারিয়ে বসলেন তিনি।

ফেলপস বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকই তার প্রিয় ইভেন্ট। নেই ইভেন্টে সোনা জিততে জিতে নিজের ব্যক্তিগত ইভেন্টই প্রায় বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার সাফল্যযাত্রা ছেদ ফেললেন যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করা ২১ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরের তরুণ।

স্কুলিংয়ের কাছে হারের দিন ফেলপসকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো রুপা। সেটাও আবার তিনি একা জিততে পারেননি। ফেলপসের সঙ্গে রুপায় ভাগ বসিয়েছেন তার বিখ্যাত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকান চ্যাড লে এবং হাঙ্গেরির লাজলো চেহ।

চলতি অলিম্পিকে ফেলপসের অর্জন চারটি সোনা। এর দুটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে। বাকি দুটি তিনি জিতেছেন দলীয়ভাবে। এই চার সোনা জেতার মাধ্যমে ফেলপসের মোট অর্জিত সোনার সংখ্যা ২২টি। সুযোগ আছে আরো অন্তত দুটি জেতার।

এর মধ্যেই ফেলপস নিজেকে সর্বকালের সেরা অলিম্পিয়ান বানিয়ে ফেলেছেন। তবে এবারই শেষ। ৩১ বছর বয়সী ফেলপসকে আর অলিম্পিকে দেখা যাবে না নিশ্চিত। এবারই তার পুলে নামা অনিশ্চিত ছিলো। কিন্তু অদম্য ফেলপস বয়সকে বুড়ে আঙুল দেখিয়ে আবার পুলে নামলেন ব্রাজিল। ঝড়ও তুললেন ভালোই। রিওয়ে অলিম্পিক যে দিন শেষ হবে, সে দিন শেষ হবে ফেলপসের অতিমানবিক গল্পটাও।

আপনি আরো পড়তে পারেন

অলিম্পিক: দেশ না থাকা ফেহাইদের সোনা জয়

কোথায় থামবেন মাইকেল ‘দানব’ ফেলপস!

পানিতে নেমেই দুর্দান্ত মাইকেল ফেলপস

অলিম্পিকেও ইসরাইল- লেবানন ‘যুদ্ধ’

অলিম্পিক: আসলেই 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'