হুমকির মুখে মালদ্বীপের সৌন্দর্য
- Details
- by ভ্রমণ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালদ্বীপ আগে থেকেই পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। হাঙরের সঙ্গে সাতার কাটার সুযোগে পর্যটক সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। আর পর্যটনই এখন দেশটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির অপার সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে শুধুমাত্র প্লাস্টিকের কারণে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ মালদ্বীপে প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা নেই বললেই চলে।
ফলে সমুদ্রসৈকতগুলোতে প্লাস্টিকের চর জমছে। রাস্তাঘাট, অলি-গলি যেদিকেই তাকানো যায়, শুধু প্লাস্টিক আর প্লাস্টিক। এসব প্লাস্টিকের বেশিরভাগই পানির সঙ্গে সাগরে মিশে যাচ্ছে। যা সামুদ্রিক প্রবাল ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে জলজ প্রাণীদের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের মানুষেরা এক সময় সবচেয়ে বেশি ভয় পেত হাঙরকে। ভয়ে পানিতেই নামতে চাইত না। তাদের সে আতঙ্ক আর নেই। এখন হাঙরের সঙ্গে তারা সাতার কাটে, খেলা করে। কিন্তু হাঙরের ভয় কাটতে না কাটতেই তাদের সামনে নতুন এক আতঙ্ক এসে হাজির হয়েছে। প্লাস্টিককেই এখন সবচেয়ে বেশি ভয় পায় দেশটির অধিবাসীরা।
ছোট-বড় ১ হাজার দুইশ’ দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। দ্বীপগুলোর চারপাশে অসংখ্য হাঙরের বাস। বিশাল আকারের এই হাঙরগুলোকে ঐতিহ্যগতভাবেই ভয়ংকর মনে করত বাসিন্দারা। এ কারণে জেলেরা প্রায়ই হাঙর দেখা মাত্রই মেরে ফেলত। কিন্তু এখন থেকে কয়েক বছর আগে হঠাৎই তাদের সেই ভুল ভেঙে যায়।
লোনু আহমেদ এক যুবক একদিন সাহস করেই সাগরের গভীরে ডুব দেন। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে আহমেদ বলেন, ‘আমি কখনও হাঙর দেখে ভয় পাইনি। আমি জানতাম, হাঙরের কাজ বিভিন্ন মরা-পঁচা জিনিস খেয়ে সাগর পরিষ্কার রাখা। তারা মানুষকে আক্রমণ করে না। আমি তাদেরকে কাছ থেকে দেখেছি।’
আহমেদের এই অভিজ্ঞতা মালদ্বীপের মানুষের শত শত বছরের ভয় তাড়িয়ে দেয়। আহমেদের দেখাদেখি বহু মানুষ সাগরে নামতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এখন তারা হাঙরের সঙ্গে সঙ্গে সাতারও কাটে।
সূত্র: মেট্রো
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর