এরদোয়ান: শস্য রপ্তানি চুক্তি আঙ্কারার কূটনৈতিক সাফল্য

তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি চুক্তিকে আঙ্কারার ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। গতকাল সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি এই মতামত ব্যক্ত করেন।

রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

শস্যবাহী জাহাজ কৃষ্ণসাগরের বন্দর ছাড়ার পর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস তুরস্কের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, শস্য সংকট কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপগুলোতে সবাই তুরস্কের অবদান স্বীকার করেছে। এখন পুরো বিশ্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিষয়টি নিয়ে। এই যুগান্তকারী সফলতা তুরস্কের প্রচেষ্টার ফসল। তুরস্কের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই কাজটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য।

ইউক্রেনের শস্যভর্তি জাহাজ

সোমবার প্রথম শস্য বোঝাই জাহাজটি ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে লেবাননের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পর এরদোয়ান এসব কথা বলেন। সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী শুকনো ভুট্টা বোঝাই কার্গো জাহাজ রাজনি আজ মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছবে। সেখানে পরিদর্শন কার্যক্রম শেষে জাহাজটি ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশ্যে চলতে থাকবে। জাহাজটি ২৬ হাজার ৫২৭ টন ভুট্টা বহন করছে।

গত ২২ জুলাই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানে বলা হয়, রাশিয়া এবং ইউক্রেন ইউক্রেনের তিনটি বন্দর ওডেসা, চেরনোমস্ক এবং ইউঝনিতে আটকে থাকা শস্য পুনরায় চালু হবে। এই চুক্তির পর বিশ্বে একপ্রকার হইচই পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববাজারে গমের দাম কমে যায়।

ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি তত্ত্বাবধানের জন্য গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র (জেসিসি) খোলা হয়েছে। এখান থেকে তুরস্ক, জাতিসংঘ, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা শস্য বহনকারী বাণিজ্যিক জাহাজ পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করবেন।

জাতিসংঘ প্রধানের প্রশংসা: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জন্য তুরস্কের প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, শস্য চালান সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ রেজোনির বন্দর প্রস্থান ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। এটি অবশ্যই বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে।