আরও তিনটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ছাড়ছে আজ

ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা শস্যবাহী জাহাজের আরও তিনটি আজ শুক্রবার যাত্রা শুরু করবে। এর আগে প্রথম জাহাজ ‘রাজনী’ লেবাননের উদ্দেশে ইতোমধ্যেই সমুদ্রপথে রয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, গত ২২ জুলাই সম্পন্ন হওয়া যুগান্তকারী শস্যচুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য ও খাদ্যসামগ্রী বহনকারী আরও তিনটি জাহাজ ছেড়ে যাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, রপ্তানি জাহাজ তদারকিতে গঠিত ইস্তাম্বুলের জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (জেসিসি) শস্যচালান কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জেসিসি থেকে একটি জাহাজ পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

আকর বলেন, শস্যচুক্তি বাস্তবায়নের পথ মসৃণ রাখতে তুরস্ক রাশিয়ান, ইউক্রেনীয় এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ এবং অবকাঠামোমন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুব্রাকভের সাথে পৃথক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শস্য চালান নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মতবিনিময় হয়েছে।

জাতিসংঘ

মাসের পর মাস আটকে আছে খাদ্যশস্য: চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের তিনটি বন্দরে কয়েক মাস ধরে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি শস্য আটকে আছে। বন্দর তিনটি হলো- ওডেসা, চেরনোমর্স্ক এবং ইউঝনি। রপ্তানি পুনরায় চালু করার জন্য তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি যুগান্তকারী চুক্তিতে ২২ জুলাই স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি তত্ত্বাবধানের জন্য ইস্তাম্বুলে জেসিসি কেন্দ্রটি ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। কেন্দ্রটি তুরস্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা পরিচালনা করছেন। তারা কৃষ্ণসাগরের ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে বাণিজ্যিক খাদ্যসামগ্রী এবং সারের রপ্তানি জাহাজের নিরাপদ পরিবহন সক্ষম করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন।

গত সোমবার চুক্তির অধীনে ইউক্রেন ছেড়ে যায় প্রথম জাহাজ ‘রাজনী’। সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটি ২৬ হাজার ৫০০ টনেরও বেশি ভুট্টা নিয়ে ওডেসা থেকে রওনা হয়। ইস্তাম্বুলে নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার পর জাহাজটি এখন লেবাননের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে।