আপনি পড়ছেন

বুকারজয়ী লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলার খবর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তেই আলোচনায় এসেছে হামলাকারীর নাম। সবার মনেই প্রশ্ন, কে এই হামলাকারী, কে এই হাদি মাতার! কী তার উদ্দেশ্য, কেনই বা রুশদির ওপর এভাবে আঘাত হানলেন তিনি। কোন দেশ বা গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই যুবক? বিশ্ব গণমাধ্যমগুলোও চেষ্টা করছে রুশদির হামলাকারীর মোটিভ খুঁজতে।

who is the hadi matar attack rushdieরুশদিকে ছুরি মারা কে এই হাদি মাতার

নিউইয়র্কের শিটোকুয়া ইনস্টিটিউশনের সাহিত্যসভার মঞ্চে শুক্রবার বক্তব্য দেওয়ার সময় ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন লেখক সালমান রুশদি। পেনসিলভ্যানিয়ার একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। তার গলায়, পেটে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। লেখকের সহকারী আন্ড্রু ওয়াইলি নিশ্চিত করেছেন, লেখকের সর্বশেষ অবস্থা ভালো নয়। তিনি কথা বলতে পারছেন না। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দর্শকদের মধ্য থেকে বেরিয়ে মঞ্চে ওঠে রুশদির ওপর হামলা চালান এক ব্যক্তি। হামলার ঘটনাস্থল থেকেই হাদি মাতার নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

রুশদির ওপর হামলাকারী হিসেবে এরইমধ্যে বিশ্ব গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির যুবক হাদি মাতারের নাম। ২৪ বছরের এই যুবকের ছবিও ছাপা হয়েছে পত্রিকাগুলোতে।

এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণকারী হাদি মাতার পরবর্তীতে নিউজার্সিতে চলে যায়। তার সর্বশেষ ঠিকানা ফেয়ারভিউ।

মার্কিন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী জানিয়েছে, হাদি মাতারকে ইরানি সরকারের প্রতি অনুরক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিয়া চরমপন্থা ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রতি তার সমর্থন রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

হাদির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা গেছে, হাদির ফেসবুক পেজে রয়েছে ইরানি নেতাদের ছবি। রয়েছে নিহত জেনারেল কাশেম সোলাইমানির ছবি।

তবে তাতে আইআরজিসির সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সম্পর্কের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

তবে স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসের জন্য ইরানি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ১৯৮৯ সালে রুশদিকে যে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে হাদির হামলার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে মার্কিন আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক রুশদি ১৯৮৮ সালে লিখেন তার চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’। এ উপন্যাসটি প্রকাশের পরই বিপদে পড়েন লেখক রুশদি। উপন্যাসটিতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মুসলিমদের। বইটি প্রকাশের পর থেকে হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন রুশদি । বিভিন্ন দেশ বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। লেখকের মাথার দাম হিসেবে ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে ইরান।

এমন পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ ৯ বছর লুকিয়েই ছিলেন রুশদি। বর্তমানে নিউইয়র্কে বসবাস করছিলেন মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকত্বপ্রাপ্ত রুশদি। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। আর সেটিই কাল হলো রুশদির জন্য। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, গার্ডিয়ান ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.