নিরাপত্তারক্ষী থেকে প্রেসিডেন্ট!

আদাম ব্যারো ছিলেন লন্ডনের একটি দোকানের নিরাপত্তারক্ষী। দীর্ঘ ২২ বছরের শাসক ইয়াহিয়া জাহেমকে হারিয়ে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। এমন ঐতিহাসিক বিজয়ের পর তিনি দেশবাসীকে নবরূপে গাম্বিয়া উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নব নির্বাচিত ৫১ বছরের প্রেসিডেন্ট জানান, দেশের সকল রাজনৈতিক কারাবন্দিকে মুক্ত করা হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার শাসনামলে নির্যাতনের ভয়ে এতোদিন যারা পালিয়ে ছিলেন, তাদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে ফিরে নবরূপে গাম্বিয়াকে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হন।‘

ব্রিটেনে চরম দুর্দিন দেখেছেন আদাম। জীবিকা নির্বাহে নানা ধরনের ছোটখাটো কাজ করে উপার্জন করতেন তিনি। এমন একটা সময়েই লন্ডনের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র আরগোসে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীতে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেন এবং ক্রমশ সফল হন। এরপর গাম্বিয়ার বিরোধী জোটের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি জোটের নেতৃত্ব দেন এবং চলতি বছরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হন।

লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইয়াহিয়ার নির্যাতন, নিপীড়নে দেশের মানুষের মনে আতংক স্থায়ীভাবে গেড়ে বসেছিল। তারা যে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবেন সে আশাও মুছে গিয়েছিল। নির্বাচনে ইয়াহিয়া আদামের কাছে হার মানবেন সেটা কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি।

কিন্তু বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার স্বীকার করে শুক্রবার জাতীয় রেডিওতে এক ভাষণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে হার স্বীকার করে নেন ইয়াহিয়া। এই ঘটনা আফ্রিকার সমস্ত মানুষকে বিস্মিত করে। তার পরপরই গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলের রাজপথে নেমে সাধারণ মানুষ আনন্দ উল্লাস করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আদাম ব্যারোকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানান। একই সাথে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য বৈঠকে বসার আহ্বান জানান তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মালয়েশিয়া প্রধানমন্ত্রী

নাগরিকত্ব দেয়া বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারকে মালয়েশিয়ার হুঁশিয়ারি

পাক সেনাপ্রধান: ভারতের প্রতিটি হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র