মিযানমারের জনপ্রিয় এবং গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চি প্রেসিডেন্ট হতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আপোষে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নতুন সরকারের কাঠামো কেমন হবে সেটি নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিনিময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ সেনাবাহিনীকে দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান সুচি।
মিয়ানমারের কিছু সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, এনএলডি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই প্রেসিডেন্ট হবেন অং সান সূ চি। কিছু মিডলম্যানের মাধ্যমে এনএলডি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক উ জা তা। সাকেব স্পীকার থুরা শো য়ে ম একজন মধ্যস্থতাকারী বলে চিহ্নিত করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
২০১৫ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারে ৫০ বছরের সেনাশাসনের অবসান ঘটে। নির্বাচনে জয় পায় সূ চি’র দল এনএলডি। কিন্তু তারপরও প্রেসিডেন্ট হতে সূ চি’র বাধা দেশটির সংবিধান। সংবিধান অনুযায়ি প্রেসিডেন্ট হতে হলে কোন নাগরিকের সন্তান বিদেশি হওয়া যাবে না। কিন্তু সূ চি’র দুই ছেলে ও স্বামী বিদেশি নাগরিক। পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
সূ চি’র দলের সিনিয়র এক নেতা বলেছেন, বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন, রাখাইন ও শান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পর সেনাবাহিনীকে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আশাকরছি সূ চি’ই হবেন প্রেসিডেন্ট। তবে সেনা নিয়ন্ত্রিত এক পত্রিকায় মন্তব্য প্রতিবেদনে বর্তমান সংবিধান সংশোধন জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়।