প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানে থাকা ১৭ হাজার বাংলাদেশি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।
জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এখন পর্যন্ত সাতজন মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন।
দেশটির দেগু শহরে বাস করে চার হাজার বাংলাদেশি। সেখানকার এক বাংলাদেশি প্রবাসী জিয়াউর রহমান বলেন, শহরে কাউকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে থাকে অন্যান্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে শপিং মলে যান বাজার করতে। গিয়ে দেখেন সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য নেই। দক্ষিণ কোরিয়ানরা আগেই সবকিছু কিনে ফেলেছেন। বাজারে ফলমূলও নেই। এমনকি হ্যান্ডওয়াসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে শহরে।
দেগু শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বুসান শহরের বাসিন্দা জামান শাওন বলেন, শহরটিতে ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর থেকেই রাস্তায় লোকজন কমে গেছে। ১০ মিনিট পরপর স্থানীয় প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা পাঠানো হচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, দেশটিতে মোট ১৭ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন। তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার উপদেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বের হতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য বিভাগের হেল্প লাইন ২৪ ঘন্টা খোলা আছে। ১৩৩৯ নম্বরে ফোন করলেই তথ্য পাওয়া যাবে।