সিরিয়ায় তুরস্ক নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের শঙ্কা!

উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র দলগুলো যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আজ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট

এক বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিরিয়ার ওই অঞ্চলগুলোতে সহিংসতা ও অপরাধবোধ ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলােতে যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে লক্ষ করা গেছে যে, ওই সব অঞ্চলে হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, অবৈধভাবে মানুষের স্থানান্তর, জমি ও সম্পত্তি দখল এবং জোরপূর্বক উচ্ছেদ বেড়েছে। এগুলো নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

তারা জানায়, সশস্ত্র দলগুলো কোনো সুস্পষ্ট সামরিক প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই স্থানীয়দের বাড়িঘর, জমি ও সম্পত্তি দখল এবং লুটপাট করছে। এমনকি শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহত হচ্ছে বেসামরিক লোকজন ও অবকাঠামো।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্ক বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বৃহত্তর অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। পাশাপাশি কুর্দি মিলিশিয়া ও চরমপন্থীদের নির্মূল করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে তুর্কি সেনাবাহিনী এবং তাদের সিরীয় সমর্থক গোষ্ঠীগুলো কুর্দি বাহিনী থেকে দেশটির সীমান্তের অভ্যন্তরে ১২০ কিলোমিটার প্রসারিত একটি এলাকা দখল করেছিল।

আঙ্কারা সরকার তাদের মিত্র মস্কোর সঙ্গে ২০১৮ সালের চুক্তির অংশ হিসেবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিবে বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েন করেছে। পার্শ্ববর্তী আলেপ্পো প্রদেশে ২০১৬ সাল থেকে একাধিক সামরিক অভিযানের পর সীমান্ত বরাবর একটি অঞ্চলও নিয়ন্ত্রণ করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন অফিস বলছে, ওই অঞ্চলগুলোতে মহিলা ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের অপহরণ ও নিখোঁজ হওয়ার তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে বিস্ফোরণ এবং সংঘর্ষের ফলে কমপক্ষে ১১৬ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৪৬৩ জন।