লকডাউনে ‘ফিরছে’ যুক্তরাজ্য!

আগামীতে যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আসতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ জন্য সেখানে ফের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জোরদার করা হবে কি না- তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন তিনি। খবর বিবিসি।

ফের লকডাউন হতে পারে যুক্তরাজ্য- প্রতীকী ছবি

গতকাল শুক্রবার অক্সফোর্ডের কাছে ডিডকটে নতুন ভ্যাকসিন সেন্টারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ও স্পেনে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই দ্বিতীয় তরঙ্গ যুক্তরাজ্যেও আসতে পারে। এ জন্য এখন থেকেই সতর্কতা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় লকডাউনের বিকল্প নেই। কিন্তু এটি করা হলে ফের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে যুক্তরাজ্য। তাই তিনি বৃহত্তর আকারে ফের দ্বিতীয় দফায় লকডাউন আরোপ করতে চান না।

তবে সংক্রমণ মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরত্ব দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন- ফাইল ছবি

এদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় গোটা যুক্তরাজ্যজুড়ে ফের লকডাউন চালু করা হতে পারে।

এর আগে যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়। পরে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে গত জুন মাসে সেটি আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন আবার সেখানে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি ৮ দিনে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।

এ বিষয়ে কেভিন ম্যাককনওয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি ওপেন ইউনিভার্সিটির ব্যবহারিক পরিসংখ্যান বিষয়ের এমিরেটস শিক্ষক।

যুক্তরাজ্য সরকার এরই মধ্যে পারিবারিক মেলামেশার ওপর বিধি-নিষেধ জোরদার করেছে। কমিয়ে আনা হয়েছে রেস্তোরাঁ ও পাব খোলা রাখার সময়। লন্ডনে আরোপ করা হচ্ছে অতিরিক্ত বিধি-নিষেধ।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪১ হাজারের বেশি।