কারাবাখে তুর্কি শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব পাস

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ করতে নাগর্নো-কারাবাখে তুর্কি সেনা মোতায়েন অনুমোদন করেছে তুরস্কের সংসদ। গতকাল মঙ্গলবার ভোটাভুটি হওয়ার পর এটি পাস হয়।

তুর্কি সেনাবাহিনীর সঙ্গে এরদোয়ান

তুর্কি গণমাধ্যমগুলো জানায়, কারাবাখে প্রায় দুই হাজার রুশ শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। সেখানে এক বছরের জন্য তুর্কি শান্তিরক্ষীরাও মোতায়েন থাকবে। এ প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্নের কথা বলা হলেও ঠিক কত সংখ্যক সেনা পাঠানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। 

বিদেশে তুর্কি সেনা মোতায়েন করতে হলে দেশটির সংসদের অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জন্য সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি মোসন বা প্রস্তাব সংসদে জমা দেয়া হয়।

মোসনে উল্লেখ করা হয়, এ পদক্ষেপের ফলে ওই অঞ্চলে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হবে, লাভবান হবেন তারা। এতে তুরস্কের জাতীয় স্বার্থও রক্ষিত হবে। তবে ঠিক কত সংখ্যক তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি গণমাধ্যমগুলো।

রুশ সেনাবাহিনী

এর আগে শান্তিচুক্তি পর্যবেক্ষণে গত বুধবার তুরস্ক ও রাশিয়ার একটি যৌথ কেন্দ্রের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের কথা জানিয়েছেন এরদোয়ান। এর মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্ক শান্তিরক্ষীরাও যোগ দেবে বলে জানান তিনি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, যা গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। এরপরই চুক্তির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করতে কারাবাখে সেনা পাঠায় রাশিয়া।

এর আগেও মস্কোর মধ্যস্থতায় দুই দফা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৃতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে দেশ দুটি সম্মত হলেও তা ব্যর্থ হয়। অঞ্চলটি নিয়ে ৯০-এর দশকে যুদ্ধে জড়িয়েছিল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।