সৌদিতে বিন সালমান-নেতানিয়াহুর ‘গোপন বৈঠক’

আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বহু আগ থেকে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কিংবা অন্য যে কোনো কারণেই হোক, সম্প্রতি একাধিক আরব রাষ্ট্র দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তালিকায় যোগ হতে পারে সৌদি আরবের নাম, এমন আভাস পাওয়া গেছে বেশ কয়েকবার। এই যখন পরিস্থিতি তখন গোপনে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে দেখা করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

যুবরাজ সালমান ও নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। সেখানে বলা হয়, গতকাল রোববার (২২ নভেম্বর) অত্যন্ত গোপন আর স্পর্শকাতর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সৌদি আরবের নিওম শহরে। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ব্যক্তিগত বিমানে উড়ে যান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সফরটি এতটাই স্পর্শকারত যে, এ নিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিছুই জানতেন না। ব্যক্তিগত বিমানে উড়ে গিয়ে সেখানে মাত্র ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর দেশে ফিরে যান নেতানিয়াহু। মূলত ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নেতানিয়াহুর সফরের ব্যাপারটি সামনে আসে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতে নিওমে পৌঁছে ২ ঘণ্টা পরেই ফিরে যায় নেতানিয়াহুর বিমান।

মোহাম্মদ বিন সালমান

এ বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানা যায়নি সৌদি আর কিংবা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে। অবশ্য তারা এ নিয়ে মুখ খুলবে না বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তাহলে কি সত্যি সত্যিই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব? ওদিকে ট্রাম্প প্রশাসনও তাদের শেষ চেষ্টা হিসেবে এমন একটা সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে।