সম্প্রতি ১৩ দেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আরব আমিরাত। এর মধ্যে কেনিয়া ছাড়া বাকি সবগুলোই মুসলিম প্রধান দেশ। কেন এমন নিষেধাজ্ঞা, তা নিয়ে ইউএই’র (সংযুক্ত আরব আমিরাত) পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলকে খুশি করতেই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমিরাত কর্তৃপক্ষ।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া দেশগুলো হলো- পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক, সোমালিয়া, আলজেরিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লিবিয়া, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিশিয়া ও ইয়েমেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুবাই থেকে প্রথমবারের মতো কোনো ফ্লাইট উড়ে যায় তেল আবিবে। ঠিক সেদিনই মুসলিম প্রধান দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকরা।
কোনো কোনো নিরাপত্তা বিশ্লেষক শুরুর দিকে এটিকে ‘নিরাপত্তা ইস্যু’ হিসেবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন। তবে অধিকাংশ মত হলো, এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে ইসরায়েল। সম্পর্কের গোড়াতেই তারা আমিরাতকে ব্যবহার করতে চাইছে মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে ইসরায়েল মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, খেয়াল করলে দেখা যাবে যে দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো তাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক খুবই ভালো। আরো বড় বিষয় হলো- এই ১৩টি দেশের ১১টিই প্রকাশ্যে আমিরাত-ইসরায়েল সম্পর্কের বিরোধিতা করেছে।