পরিস্থিতি আরো খারাপের শঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান। তিনি এ আশঙ্কা এমন সময় প্রকাশ করলেন যখন ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন রূপে ছড়িয়ে পড়ছে।

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

মাইক রায়ান বুধবার বলেন, যেভাবে করোনার নতুন ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। বিশেষ করে, উত্তর গোলার্ধে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় প্রথম দিকের চেয়ে কোভিড-১৯ এর মহামারির দ্বিতীয় বছরটি আরো কঠিন হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা এমন সময় এই আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন যখন টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভাইরাসটিতে মৃত্যুর রেকর্ড দেখলো বিশ্ব। বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছে ভয়ংকর এই ভাইরাসটি।

বিশ্ব সংস্থাটির হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান

মার্কিন জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য থেকে জানা যায়, গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী প্রথমবারের মতো ১৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে বিশ্বে করোনার মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২৭ লাখের বেশি। তার আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে রেকর্ড ১৫ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৫ জন। মারা গেছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৮ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৫১ লাখ ২ হাজার ৮৩১ জন। আর মারা গেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৫ জন।

এ ছাড়া মেক্সিকোতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি।

যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ লাখ ১১ হাজার ৫৭৬ জন। মারা গেছেন ৮৪ হাজার ৭৬৭ জন।