হাতাহাতি-হট্টগোলে পণ্ড বাজেট অধিবেশন

সরকার ও বিরোধী দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে হট্টগোল এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনায় পণ্ড হয়ে গেছে বাজেট অধিবেশন। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের নিম্নকক্ষের আইনসভা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে। গতকাল মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দল মুসলিম লীগ (নওয়াজ) নেতা শেহবাজ শরিফ বক্তব্য দেওয়ার সময় এই হট্টগোল শুরু হয় এবং তা প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে।

হাতাহাতি-হট্টগোলে পণ্ড বাজেট অধিবেশন

এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার নিজের নির্ধারিত সময়ে বক্তব্য শুরু করেন শেহবাজ শরিফ। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি দেশটির বর্তমান ভঙ্গুর ও নড়বড়ে অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং ইমরান খান সরকারের সমালোচনা শুরু করতে থাকেন। এ সময় হট্টগোল শুরু করেন সরকারি দলের প্রতিনিধিরা।

এ সময় সরকারি দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) শেহবাজ শরীফকে লক্ষ্য করে উচ্চকণ্ঠে একসঙ্গে ‘চোর চোর’, ‘ডাকাত ডাকাত’, ‘টাকা পাচারকারী’ বলতে থাকেন। তবে নিজের বক্তব্য অব্যাহত রাখেন শেহবাজ শরিফ।

হাতাহাতি-হট্টগোলে পণ্ড বাজেট অধিবেশন

এক পর্যায়ে সরকারি দলের এক এমএনএ শরিফকে লক্ষ্য করে বাজেট বই ছুড়ে মারেন। এ সময় বিরোধী দলের কয়েকজন এমএনএ তেড়ে যান সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের দিকে। তার পরই পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শুরু হয় ভয়াবহ পরিস্থিতি।

এ সময় দুই পক্ষের জনপ্রতিনিধিরা একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষ, হাতহাতি ও মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। একে অপরকে ফাইল, বাজেট বই, পানির বোতল ইত্যাদি ছুড়ে মারতে থাকেন। এ অবস্থা প্রায় ৪০ মিনিট চলার পর পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এক পর্যায়ে অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করতে বাধ্য হন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্পিকার আসাদ কায়সার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাতাহাতির ঘটনায় বেশ কয়েকজন এমএনএ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আইন বিষয়ক কমিটির সচিব মালিকা বোখারি। পার্লামেন্টের মেডিকেল টিম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।