আফগানিস্তানে আইএসের উত্থান, উদ্বিগ্ন পুতিন যা বললেন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস বা দায়েশের উত্থান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আইএসকে আরও সক্রিয় মনে হচ্ছে। এই অবস্থায় আফগান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানান তিনি।

আফগানিস্তানে আইএসের উত্থানে উদ্বিগ্ন পুতিন

পুতিন বলেছেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএস সন্ত্রাসীরা দেশটিতে প্রবেশ করছে। এসব সন্ত্রাসী যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক ও সিরিয়া থেকে ‘সক্রিয়ভাবে’ আফগানিস্তানে ঢুকে পড়ছে। এ অবস্থায় বর্তমানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মোটেও স্বাভাবিক নেই। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতিও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এসব উগ্র এইএস জঙ্গিরা।

এক প্রতিবেদনে শুক্রবার পার্সটুডে জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আফগান পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে প্রতিবেশীদের ওপর সরাসরি হামলাও চালাতে পারে এসব সন্ত্রাসী। তার মতে, আফগানিস্তানের বর্তমান বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী সেজে ঢুকতে পারে সন্ত্রাসীরা। এতে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কান্দাহার প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে শুক্রবার ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে

উদ্বেগ প্রকাশ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এ অবস্থায় আফগানিস্তানের সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় সম্মিলিত অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুতির আহ্বানও জানান ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। এরপর থেকেই মরণকামড় দেওয়া শুরু করেছে জঙ্গি সংগঠনটি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় হামলা চালিয়েছে তারা। এর মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর এবং কুন্দুজ ও কান্দাহারের শিয়া মসজিদে জুমার নামাজের সময় চালানো ভয়াবহ হামলা অন্যতম। এসব হামলায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তানে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে আইএস।