প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড ও মরদেহ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করলো তালেবান

জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কিংবা অন্য যে কোনো শাস্তি প্রদান নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। একইসাথে ‘অন্য অপরাধীদের সতর্ক করা’র কারণ দেখিয়ে মরদেহ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত যদি কখনো এই দুটি কাজ করার নির্দেশ দেয় তাহলে সেটা করা যাবে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই তথ্য জানান।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ

তালেবান সরকারের মন্ত্রিপরিষদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এখন থেকে অপরাধীকে রাস্তায় মোড়ে কিংবা অন্য কোনো প্রকাশ্য স্থানে শাস্তি প্রদান করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিলে সেটা অবশ্য ভিন্ন কথা। যেসব অপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা হবে, জনসম্মুখে সেই অপরাধের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে হবে, যেন অন্যরাও সচেতন হতে পারে।

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে অপহরণের অভিযোগে ৪ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর প্রদেশটির ডেপুটি গভর্নর মৌলভী শির আহমেদ মুজাহিরের নির্দেশে সেই মরদেহ ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে তালেবান সরকার।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মৌলভী আবদুল হাকিম হাক্কানি। এছাড়া মৌলভী মুহাম্মদ কাসিম তুর্কমান এবং মৌলভী আবদুল মালিক তার ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তালেবানের রেহবারী-ই-শুরা (নির্দেশিকা পরিষদ) ও সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদার অনুমোদনের পর প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করা হয়।