ওমিক্রন নিয়ে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

দ্রুত ছড়ানো করোনার সবশেষ ও সবচেয়ে বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এখন পর্যন্ত তিন মহাদেশের ১৭টির বেশি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আসা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএউচও এবার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দিয়েছে। গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার হিড়িকের মধ্যেই এমন বার্তা দিল জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাটি।

ওমিক্রন ও ডাব্লিউএইচও

ডব্লিউএউচও জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত ও বয়স্কদের আপাতত বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ এবং ৬০-এর বেশি বয়সের মানুষের ভ্রমণ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। এটির তীব্রতা যথাযথভাবে বোঝার জন্য আরো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডব্লিউএইচও বলছে, এভাবে ওমিক্রনের সংক্রমণ আটকানো সম্ভব নয়, বরং মানুষের জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে আপাতত গুরুতর রোগে আক্রান্ত ও বয়স্কদের ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা ছাড়া দ্রুত কঠোরতা প্রয়োগের দিকে না যাওয়ার কথাও বলা হচ্ছে।

দেশে দেশে ‍ওমিক্রনের হানা

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন, B.1.1.529 বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বহু দেশ। এটি ডেল্টা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও অতি সংক্রামক হওয়ায় প্রতিরোধক টিকা অকার্যকর হয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে এটি ঠেকাতে বিদেশ থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পথে হাঁটছে বিভিন্ন দেশ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, ওমিক্রনে আক্রান্তদের অধিকাংশই দক্ষিণ আফ্রিকাসহ শনাক্ত হওয়া অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করেছেন সম্প্রতি। এটি যে ১৭টি দেশে শনাক্তর তথ্য এসেছে, সেগুলো হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ইসরায়েল, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও পর্তুগাল।