আপনি পড়ছেন

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মস্কোর বিরুদ্ধে তোলা নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল ভারত। এই ইস্যুতে চার দেশীয় নিরাপত্তা জোট কোয়াডে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে দেশটি। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে একমাত্র নয়াদিল্লিই কিয়েভ সংক্রটে ভিন্ন পথে হেঁটেছে।

biden modi putinজো বাইডেন, নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিন, ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকটে অবস্থানগত কারণে কোয়াডে ভারতের ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। রুশ আগ্রাসনের কঠোর নিন্দার পাশাপাশি কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়াশিংটনের অনুসরণে কয়েক ডজন রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাপানও।

এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল ভারত, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন পর্যন্ত একবারের জন্যও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচনা পর্যন্ত করেননি। দিল্লির এই ভূমিকাকে ‘শেকি বা দুর্বল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

putin modiকোয়াডের শীর্ষ সম্মেলন, ফাইল ছবি

পুতিনের আগ্রাসন মোকাবেলায় কোয়াড খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘জাপান ও অস্ট্রেলিয়া জোরালো ভূমিকা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম ভারত।’ তার এই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানানোর আগে ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ভারতের নেতাদের সঙ্গে আলাদা দু’টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নেতারা, তাতেও কোয়াডে এই মতপার্থক্যের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।

পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে গঠিত কোয়াড হয়তো এ যাত্রায় টিঁকে যাবে। ভূ-রাজনীতিগত এই জোটের সদস্য দেশগুলো ‘মালাবার এক্সারসাইজ’ নামে নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। তারপরেও জোটটিকে প্রধানত একটি অর্থনৈতিক জোট হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন নেতারা।

গতকাল সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এরপর দিল্লির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে মতপার্থক্য থাকলেও তার প্রভাব ইন্দো-প্যাসিফিকে পড়তে না দেওয়াই কোয়াডের অভিপ্রায়। নিজস্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় এই ইস্যুতে তার দেশের অবস্থানের বিষয়টি বুঝেছেন মরিসন।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সে সময় তিনি বলেন, মস্কোর এই বিশেষ অভিযান ‘বৈশ্বিক শৃঙ্খলার ভিত্তি’ নাড়িয়ে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন। কোনো অঞ্চলে বলপ্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা নষ্টকারী কোনো দেশকে ক্ষমা না করার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করেছি।

এ সময় ইউক্রেন নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য বা একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য এটি ‘ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলো’ নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। উল্টো নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় অন্তত ৫০ লাখ ব্যারেল তেল কেনার সমঝোতা করেছে দিল্লি।

অবশ্য এতে নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হবে- এমনটি ওয়াশিংটন মনে করে না জানিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিত, সকল দেশের কাছে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট বার্তা। রাশিয়ার নেতৃত্বকে সমর্থন করার মানে তাদের আগ্রাসনও সমর্থন করা। এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া ভয়ংকর হতে বাধ্য, সেটিও ভাবা দরকার।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.