প্রবীণদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এরই মধ্যে যদি শোনেন বুড়িয়ে যাওয়া পোষা প্রাণীদের জন্যও একই আদলে ‘ওল্ড কেয়ার হোম তথা বৃদ্ধাশ্রম’ আছে, তখন হয়তো মুহূর্তের জন্য থমকে যাবেন। বাস্তবতা বিবেচনায় বুড়ো পোষা প্রাণীদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখার বিপক্ষে কম লোককেই পাওয়া যাবে।

animals care home main

বুড়িয়ে যাওয়া পোষা প্রাণীদের জন্য দক্ষিণ বেলজিয়ামে ‘দ্য লিটল ওল্ড ওয়ানস’ নামে এ ধরনের একটি বৃদ্ধাশ্রম আছে। ভ্যালেরি লুইসিক্স নামে এক নারী ১৫০টি বয়স্ক পোষা প্রাণীর এই বৃদ্ধাশ্রমটির দেখাশোনা করেন। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

দক্ষিণ বেলজিয়ামের হেয়নু প্রদেশের প্রত্যন্ত শেভর এলাকায় এই প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রটি অবস্থিত। এতে রয়েছে স্থূলকায় পেটের শূকর,বেশকিছু বয়স্ক বিড়াল, কুকুর, ক্ষুদেকায় ঘোড়া এবং ছাগল। এসব প্রাণী শেষ নিঃশ্বাসটা যাতে প্রশান্তিতেই নিতে পারে সেটাই এই আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্দেশ্য।

প্রাণীগুলোর অধিকাংশরই হয়তো স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে কিংবা তাদের মালিকও বয়োবৃদ্ধ হয়ে পড়ায় এগুলোর পরিচর্যা করতে না পারায় ফেলে রেখে গেছেন।

animals care home inner 1

এই বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে ১৫ বছর বয়সী ইউরোপিয়ান বিড়াল আজুরিয়া এবং নয় বছর বয়সী কুকুর কার্লিন। এখানে একটি ক্যালিন বিড়ালও রয়েছে, অবশ্য সে ছবি তুলতে পছন্দ করে না। হাত বুলিয়ে দিলেই সে খুশি। তবে নয় বছর বয়সী কুকুর সেইন্ট বার্নার্ড পোট্রেইট ছবির জন্য রীতিমতো পোজ দিচ্ছিল।

ভ্যালেরি ২০০০ সালে স্বামী সেরশের সহযোগিতায় বুড়ো পোষা প্রাণীদের এই আশ্রম চালু করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এসব প্রাণীদের থেকেই পারিবারিক আনন্দ পেতে চেয়েছি।’

animals care home inner 2

এই বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারে। কেউ কেউ আবার সোফায় সুবোধ শিশুর মতো শুয়ে-বসে সময় কাটায়।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.