এখন ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। এটি সাধারণ ফ্লু, কিন্তু ভোগান্তি কম নয়। এই রোগের স্থায়িত্ব কম হলেও শরীর দুর্বল করে ফেলে। নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, জ্বর, কাঁপুনি হলো এর প্রধান লক্ষণ। যে কোন অসুস্থতায় কাজ করতে বিরক্ত লাগে, সে সর্দি-জ্বরই হোক বা অন্যকিছু। সাধারণ ফ্লুতে সচরাচর চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। একটু সচেতন হলে ফ্লু থেকে বাঁচতে পারবেন। কী করে প্রতিরোধ করবেন এই সাধারণ ফ্লু বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন কিছু পরামর্শ।

seasonal fever

ছোট-বড় সবাইকে, হাত দুটো পরিষ্কার রাখতে হবে সব সময়। জিনিস বা মানুষকে স্পর্শ করার মাধ্যমেই ভাইরাল আক্রমণ ঘটে সাধারণত। যেমন স্কুল, কলেজ, অফিস বা দোকানপাটের দরজার হাতল, টেবিলের কোণ, রিকশা-গাড়ির হ্যান্ডেল, টেলিফোন ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ইত্যাদি। পরিষ্কার দেখানো সত্ত্বেও অনেক সময় জিনিসের স্পর্শের কারণে সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে হাত দুটো সম্ভব হলে পরিস্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আদর্শ স্থান হল স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা। সব সময় চেষ্টা করুন বাসার ভেতর ও আশপাশটা পরিষ্কার রাখতে। বাইরে ধুলোবালি বেশি থাকে। ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই বাইরে বেরুলে মুখে মাস্ক পরে নিন। বাড়ির ভেতরে মাস্ক না পরলেও চলবে। হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন। বড়দের অবশ্যই হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করা জরুরি।

মাঝে মধ্যে বাড়িতে তৈরি মুরগি ও সবজির স্যুপ খান। মুরগি ও সবজির স্যুপে প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা থাকে ফলে মঝে মাঝে এগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা জোরদার হয়।

গ্রিন বা ব্ল্যাক টি শুধুমাত্র সংক্রমণ প্রতিরোধই করে না এগুলো চনমনে অনুভূতি এনে দেয়। এসব চায়ের সাথে লেবু কিংবা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন সি কার্যকর হলেও ফ্লু তাড়াতে জিঙ্ক কিন্তু দারুণ উপকারি। জিঙ্কে পূর্ণ এমন কিছু খাবার হল বাদাম, শীমের বিচি বা মিষ্টি কুমড়ার বিচি। মৌসুমি ফলমূল সর্দিকাশি প্রতিরোধে কার্যকর। আঙুর, বাঙ্গি, তরমুজ, আনারস ইত্যাদি ফল খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন।

রাস্তাঘাটের ধুলোবালিপূর্ণ খাবার ভাইরাস ছড়ানোর যম। এসব নোংরা খাবার সব সময় এড়িয়ে চলুন এবং ঘরের তৈরি খাবারের অভ্যাস করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

অপর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম মানুষের শরীর সুস্থ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা তাই নিয়মিত ব্যায়ামের পরামর্শ দিচ্ছেন। ফ্লু রোধে স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে বসবাসসহ বিরূপ পরিবেশে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

আপনি আরও পড়তে পারেন

একসাথে প্রচুর সবজি খাওয়া ঠিক নয় কেনো?

ঢেঁড়সের অনেক উপকারিতা

ওজন বাড়লে কমবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধ

প্রাণসংহারী রোগ ডিপথেরিয়া

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.