অসুখে আপনার বন্ধু পেঁয়াজ

সবজি, ডাল, মাছ, মাংস বা পান্তা, ভাত খেতে বসে পেঁয়াজ প্লেটে লাগবেই। পুরী, সিঙ্গারা, সমুচা খাবেন পেঁয়াজ ছাড়া, ভাবা যায়! কিন্তু এই পেঁয়াজ আপনার নীরব অথচ উপকারি বন্ধু, সেই খবর কি রাখেন? শুধু রান্না নয়, পেঁয়াজ ব্যবহার করুন ওষুধের বিকল্পে।

পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর সালফার। চিকিৎসকরা জানান, পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল গুণ সাধারণ সর্দি, কাশি এমনকি হার্টের সমস্যাও দূরে রাখতে সাহায্য করে।

অনেকের হয়তো তীব্র গন্ধযুক্ত হওয়ায় পেঁয়াজ খেতে ভালো লাগে না। প্রয়োজন নেই, না খেয়েও আপনি পেঁয়াজের উপকার গ্রহণ করতে পারেন।

বুকে ইনফেকশন হলে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলে কুচি করা পেঁয়াজ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে বুকে লাগিয়ে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। এটি ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করবে।কাটা-ছেঁড়া জায়গায় পেঁয়াজের সাদা ফিল্ম পাতলা করে কেটে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে গজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

জ্বর কমছে না কিছুতেই? পায়ের তালুতে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে স্লাইস করে কাটা পেঁয়াজ রেখে মোজা পরে থাকুন। এতে জ্বর কমে যাবে। কাশির সমস্যায় পেঁয়াজ অর্ধেক করে কেটে নিয়ে দুটো ভাগের ওপর দু’চামচ করে ব্রাউন সুগার দিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এটি দিনে দু’বার করে খেলে কমবে কাশি।

কোন কারণে যদি কানের ব্যথা করে তবে আর কাতর হয়ে পরে থাকবেন না। জলদি পেঁয়াজ কুচি করে কেটে পাতলা কাপড়ে বেঁধে নিন। এরপর কাপরের পুটলিটা কানের কাছে বেঁধে রাখুন। আরাম পাবেন।

বাচ্চার পেটে সমস্যা লেগেই থাকে, তাই ঘনঘন ওষুধ না খাইয়ে ব্যবহার করুন ভেষজ পদ্ধতি। হলুদ পেঁয়াজ ডুমো করে কেটে পানিতে ফুটিয়ে বানিয়ে নিন অনিয়ন টি। এটা খাওয়ালে শিশুর পেটের রোগ সেরে যাবে।

বার বার বমি হলে পেঁয়াজ বেটে রস বের করে নিন। সেই সাথে পেপারমিন্ট টি বানিয়ে রাখুন। দু চামচ পেঁয়াজের রস খাওয়ার পাঁচ মিনিট পর দু’চা চামচ পেপারমিন্ট টি খান। এই পদ্ধতিতে তিনবার একবার রস, একবার চা খেলে বার বার বমি হওয়া কমবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ঘৃতকুমারীর আশ্চর্য ব্যবহার

নাক ডাকা বন্ধ করবে একটিমাত্র জুস!

যে জন্য খাওয়া চাই গুণে ভরা তোকমা

সরিষা তেলের চমৎকার গুণাগুণ

ওষুধ সেবনে নিয়ম না মানলে যে ক্ষতি হয়