মাছভাজা, ভর্তা, ডিম ভাজা কিংবা ঝালমুড়ি বানাতে সরিষার তেল না দিলে যেন আসল স্বাদটাই আসে না। তাই সরিষার তেল ছাড়া এসব চিন্তাই করা যায় না। বহুকাল ধরেই এই তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর পেছনে রয়েছে নানা কারণ। সরিষার তেলকে এশিয়ার অলিভ অয়েল বলা যায়। খাবার রান্না থেকে শুরু করে ত্বকের যত্নে, চুলের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়।

mustard oil

কানাডা, ইউরোপ এবং আমেরিকাতে সরিষার তেল খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এর কারণ তেলটিতে ইরুইক এসিড রয়েছে। এই উপাদানটি ইঁদুরের দেহের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অথচ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেলের তালিকার মধ্যে এই তেল শীর্ষস্থান দখল করে আছে। জানিয়ে দেয়া হল সরিষার তেলের বিসম্ময়কর কিছু গুনাগুণ-

বিহার, বাংলা, ওড়িশা, আসাম এবং নেপালের ঐতিহ্যের অংশ একটি অংশ হল সরিষার তেলে রান্না করা। কিছু কিছু কাশ্মীরি খাবারেও সরিষার তেলের ব্যবহার দেখা যায়।

সরিষা থেকে তৈরিকৃত বলে এই তেলের স্বাদ অনন্য। ক্যানোলা তেল যে প্রজাতির শস্য থেকে তৈরি হয়, সরিষা সেই একই প্রজাতির অংশ। এক টেবিল চামচ সরিষার তেলে ১২৬ ক্যালরি পাওয়া যায়। সরিষার তেলের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান আচার তৈরিতে অনন্য।

ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ? এ সমস্যা প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে সরিষার তেল। সরিষার তেল ছত্রাক প্রতিরোধী উপাদান আছে। তেলটির এই গুণের কারণ অ্যাললি আইসোথিয়োসায়ানেট। ফেসপ্যাকে সরিষার তেলের ব্যবহার কার্যকর।

সরিষার তেলের ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে কীট-পতঙ্গ দূরে থাকে। তাই পিঁপড়া এবং মশা তাড়াতে চাইলে সরিষার তেল মিশ্রিত তরল স্প্রে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

শীতের মৌসুমে এই তেল কাজে লাগে। কারণ এটি উষ্ণ তেল হিসাবে বিবেচিত। সর্দি-কাশি দূর করতে আয়ুর্বেদে সরিষার তেলের ব্যবহার রয়েছে।

শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সরিষার তেলের বহুল ব্যবহার প্রচলিত। খেলে বা ত্বকে লাগালে ঘাম হয়ে শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায়।

ওয়েলিক এবং লিনোলিক নামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিড আছে সরিষার তেলে। এগুলো চুলের জন্য দারুণ টনিক। এই তেল মাথায় ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চুলও বৃদ্ধি পায়। সরিষার তেলের সাথে তিসি পাউডার ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়।

আরথ্রাইটিস এবং রিউমাটিজমের চিকিৎসায় ওষুধের সাথে সরিষার তেলের ব্যবহার রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ দাঁতের যত্নে সরিষার তেল এবং লবণ একসাথে মিশিয়ে দাঁত মাজতে বলেন।

সরিষার তেল অলিভ অয়েলের চেয়ে ভালো। এটি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

নারকেল তেল খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর

অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

কলারও আছে কিছু ক্ষতিকর দিক

কেন ডিম খাবেন?

রক্ত পরিষ্কার করে যে পানীয়

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.