এক কাঁদিতে হাজার কলা!

এক ছড়া বা কাঁদিতে বড় জোর কলা থাকে দেড়শ থেকে দু’শোটি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে গাজীপুরে একটি গাছে কলা ধরেছে হাজারটিরও বেশি। কেউ কেউ বলছেন, অন্তত দুই হাজার কলা ধরেছে গাছটিতে। এতবড় কলার ছড়া দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। এ যেন বারো হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি!

গাজীপুরের কাশিপুরে মনপুরা পার্কে একটি কলাগাছে সাড়ে ৫ ফুট লম্বা কাঁদি

কলাগাছটি হয়েছে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকায় ‘মনপুরা’ নামের একটি বিনোদন পার্কে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কলার ছড়াটি লম্বায় আনুমানিক সাড়ে ৫ থেকে ৬ ফুট। কাঁদিটি মাটিতে ঠেকে গেছে। এতবড় ছড়া নিয়ে গাছটি যাতে হেলে পড়ে না যায় কিংবা ভেঙ্গে না পড়ে সেজন্য দুটি বাঁশ ঠ্যাকনা দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে মনপুরা পার্কে বেড়াতে এসে এক দর্শনার্থী একটি কলা গাছের চারা পার্কের মালিককে উপহার দেন। চারাটি পার্কের ভেতরেই রোপন করা হয়। গাছটি বড় হয়ে কলাও ধরে। ওই ছড়াটিও বেশ বড়সর হয়েছিল।

ওইখান থেকেই নতুন করে আরেকটি কলা গাছের চারা জন্ম নেয়। একপর্যায়ে এ কলা গাছটি বড় হয়। কিছুদিন আগে গাছটিতে কলার ছড়া বের হয়। ছড়াটিও বড় হতে থাকে। একপর্যায়ে কলার ছড়াটি মাটি ছুঁয়ে যায়।

মনপুরা পার্কের ব্যবস্থাপক জায়েদ হাসান বলেন, এটি হাজারিকা জাতের কলা গাছ। এত বড় কলার ছড়া দেখতে অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে পার্কে আসছেন। চম্পা কলার মতো দেখতে এই কলা খেয়ে দেখেছি, কিছুটা টক টক।

এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান জানান, কলা গাছটির ছড়ায় এক হাজারের বেশি কলা ধরেছে। ছড়ার ওপরের দিকে কলা বড় ও পুষ্ট। তবে নিচের দিকের কলা অপুষ্ট। সব কলা হয়তো খাওয়ার উপযোগী নাও হতে পারে।

তিনি বলেন, পার্ক মালিক কলার চারাটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন। তবে কার কাছ থেকে পেয়েছেন, তা জানাতে পারেননি। কলার এই জাত থেকে কোন নতুন জাত উদ্ভাবন করা যায় কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।