Details by জীবনশৈলী ডেস্ক Published: 24 December 2015 Last Updated: 24 December 2015 শাশুড়ি-বউমা সম্পর্কের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। প্রত্যেক মানুষেরই কিছু দোষ-ত্রুটি থাকে। সেগুলো ভুলে আসল মানুষটাকে চিনতে পারাই মূলকথা। কিছুটা ছাড় দিয়ে, মানিয়ে নিলেই দুইজনের সম্পর্কের মাঝের দেয়ালটা সরে যাবে।
কীভাবে সম্পর্কটা সুন্দর ও উপভোগ্য করবে, জেনে নিন কিছু টিপস-
বউমা যা করবেন অবসর সময়ে শাশুড়ির সাথে গল্প করুন। এতে ওঁনার মানসিকতা, চিন্তা- ভাবনা বুঝতে আপনার সুবিধে হবে। বন্ডিংও ভাল হবে। শাশুড়ির সঙ্গে কিছু কিছু কথা শেয়ার করুন। এতে আপনার ওপর তার আস্থা জন্মাবে। শাশুড়ি কৌতূহলী হলে তার মানে এই নয় যে উনি মানুষটা খারাপ। খারাপ দিকটা না দেখে ওঁনার ভাল দিকটা দেখুন। শাশুড়ি কিছু জানতে চাইলে সঠিক উত্তর দিন। এতে ওঁনার কৌতূূহল কিছুটা কমবে। আপনার শাশুড়ি হয়তো ওঁনার ছেলেমেয়ের ব্য্যাপারেও কৌতূহলী। তাই রেগে না গিয়ে দুজনে আলোচনা করুন। ননদ বা জা থাকলে তাদের পরামর্শ নিন। দুজনের মাঝখানে স্বামীকে অযথা জড়াবেন না। সমস্যা হলে নিজেরা কথা বলে মিটিয়ে ফেলুন। বাপের বাড়ির কেউ এলে শাশুড়ির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিন। তা হলে উনি মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচিত হবেন। শাশুড়ি যা করতে পারেন মেয়ে আপনাকে যত সহজে সব কিছু বলতে পারে, বউমা কিন্তু তা পারবে না। তার কিছুটা সময় লাগবে। সেই সময়টা তাকে দিন। কিছু জানার থাকলে সরাসরি প্রশ্ন করুন। ছোটখাট সমস্যা বউমার সঙ্গে শেয়ার করুন। এতে সে আপনাকে বন্ধু ভাবতে পারবে। জোর করে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনা আপনিই তা হয়ে যাবে। বউমা সবকিছু শেয়ার করতে না চাইলে অযথা বার বার প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না। আপনিও নিশ্চয়ই সব কথা শাশুড়ির সাথে শেয়ার করতে পারতেন না। ক্রমাগত ছেলের কাছে নালিশ জানাবেন না। এতে আপনার এবং বউমার সহজ সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে। বউমার বন্ধুরা বা বাপের বাড়ির লোক এলে সব সময় ওদের কাছে বসে থাকবেন না। ওদেরও নিজস্ব কিছু কথা থাকতে পারে। সেটা বলার সুযোগ দিন।
আপনি আরও পড়তে পারেন