সারাবিশ্বে ক্রমাগতভাবে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। জলবায়ু বিষয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে হলে মাংস খাওয়াও কমাতে হবে। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-আইপিসিসি প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

meat

প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর গ্রিন হাউস গ্যাসের এক চতুর্থাংশ আসে জমির ব্যবহার থেকে। যার বেশিরভাগই হয় মাংস উৎপাদনকারী গবাদি পশুর খামারের কারণে। মাংস জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়ার ফলে জমি থেকে বেশি মাত্রায় কার্বন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, যার ফলে বায়ুমণ্ডল আরও বেশি উষ্ণ হচ্ছে। আর এ কারণেই গবাদি পশুর খামার কমাতে খাবার হিসেবে মাংস খাওয়া কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষ বেশি করে উদ্ভিদজাত খাদ্য গ্রহণ শুরু করলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তারা হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, মাংস ও দুগ্ধজাত খাদ্য তৈরির লক্ষ্যে নিবিড় চাষাবাদ বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ও আইপিসিসির একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য সালিমুল হক বলেন, যেভাবেই পারি আমাদের গ্রিন হাউস গ্যাসটাকে কমানো প্রয়োজন। তা না হলে যে পরিমাণে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে তা সহ্য করা যাবে না।

‘আমরা যদি মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে পারি তাহলে মাংস উৎপাদনকারী খামারের সংখ্যা কমে যাবে। আর এতে কমবে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, দুই কারণে মাংস খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিচ্ছি, একে তো গ্রিন হাউস গ্যাস কমাতে হবে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো না। তবে এটি ধনী দেশগুলোতেই বেশি হয়ে থাকে। মাংস এবং দুধ নিয়মিত খাওয়া পশ্চিমা দেশের মানুষদের সংস্কৃতিরই অংশ।

তিনি উল্লেখ করেন, কেউ মাংস খাওয়া বন্ধ করতে বলছে না, কমাতে বলছে। আর এটা নিজের স্বার্থেই করা উচিত। পশ্চিমা দেশে স্থূলতার সমস্যা আছে। তার মানে তারা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাচ্ছে। তারা শরীরকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। তারা খাওয়া কমাতে পারলে সেটা তাদের জন্যই ভালো।

পশ্চিমা দেশে বড় বড় কৃষি খামার তাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তি এবং এসবের মালিকরা রাজনৈতিভাবেও প্রভাবশালী।

সেক্ষেত্রে কিভাবে এ ধরনের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব এমন প্রশ্নে বিজ্ঞানী সালিমুল হক বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব যদি স্থানীয় ছোট ছোট খামারের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো যায়। কারণ বড় বড় খামার এগুলোর উপযুক্ত না। যদিও তারা খুব বড় পরিসরে উৎপাদন করে থাকে। এগুলো খুব ভালোভাবে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে না। বিশেষ করে গবাদি পশুর উপর তারা অনেক চাপ দেয়, খুব খারাপ অবস্থায় রাখে যা উচিত না।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.