স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠুক দুপুরের খাবার

অফিসে থাকাকালীন অনেকেই মধ্যাহ্নভোজকে গুরুত্ব দেন না। অনেকে কাজ করতে করতে খান আবার সঠিক সময়ের বাইরেও অনেকে খান। কাজের চাপে হয়ত দুপুরে খাওয়া হয়নি এমন লোকের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী নেহাত কম নয়। অনেকেই এই অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। ভাবছেন, দুপুরে কীভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন? তাড়াহুড়োর মধ্যেও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়, চলুন জেনে নেই।

দুপুরের খাবারের পাশাপাশি হালকা স্বাস্থ্যকর নাশতা রাখুন সব সময়। তা হতে পারে কোনো মৌসুমি ফল, একটু লো ফ্যাট দই কিংবা হালকা মার্জারিন দেয়া চার টুকরো হাই-ফাইবার বিস্কুট। আর দুপুরের খাবার হিসেবে খেতে পারেন লাল আটার রুটি বা পাউরুটির স্যান্ডউইচ, চর্বিহীন মাংস, মুরগির মাংস এবং বেশি পরিমাণে সালাদ। পেট ভরা রাখতে হাই-ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।

অনেক সময় রাতের খাবারের খানিকটা বেঁচে যায়। সেটি কাজে লাগাতে পারেন পরের দিনের দুপুরের খাবারে। এছাড়া ঝামেলা কমাতে চাইলে পরের দিনের লাঞ্চের জন্য আগের রাতে একটু বেশি করেই রান্না করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে খাওয়ার সময় গরম করলে খাবারের স্বাদ কমে না বরং মাঝে মাঝে স্বাদ আরো বাড়ে, বাড়তি লবণ যোগ করতে হয় না।

খাবারের প্লেটে নানা ধরনের রঙিন শাকসবজি এবং ফলমূল রাখার চেষ্টা করুন। রঙিন শাকসবজি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পুরন করে কারণ এগুলোতে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ, পুষ্টি উপাদান এবং ফাইটোকেমিকেলস নামের উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক। এই রাসায়নিক রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে দুপুরের খাবার হিসেবে রাখতে পারেন ভুট্টা, চেরি টমেটো, গাজর, লেটুস, লাল ক্যাপসিকাম, কুমড়া, যেকোন শাক, সবজি।

ধনেপাতা কিংবা পুদিনার মতো হার্বস খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। এতে খাবারের স্বাদ বাড়াতে বাড়তি তেল কিংবা লবণের প্রয়োজন হবে না। দুপুরের খাবারে সালাদতো রাখবেনই এর পুষ্টিগুণ আর বাড়তি স্বাদ আনতে হাবর্স ব্যবহার করুন। একটি স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবারের উদাহরণ হল হালকা ভাজা মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে পালংশাক, পেঁয়াজ পাতা, ধনেপাতা, টক দই, প্যাপরিকা এবং বাদাম কুচি।

হৃদপিণ্ডসহ দেহের সার্বিক সুস্থতায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্যকর ভূমিকা রাখে। আর মাছ হচ্ছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। সপ্তাহে দুতিন বার তৈলাক্ত মাছ খাওয়া উচিৎই বটে। ঝটপট দুপুরের খাবার সারতে চাইলে লেটুস, টমেটো, শসার সালাদ, সঙ্গে যেকোনো মাছ দিয়ে প্লেট সাজিয়ে তুলুন।

দুপুরের খাবারে চর্বিহীন মাংস, শাকসবজি-ফলমূল, মাছ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাবার খেতে চেষ্টা করুন। দুপুরের খাবারে কম খাবেন। লাঞ্চের পর সামান্য হাঁটাচলা করুন। বিকেল চারটার আগে অবশ্যই দুপুরের খাবার শেষ করতে হবে। যত কিছুই খান না কেন পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে ভুলবেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ওজন বাড়লে কমবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

হজম শক্তি বাড়াতে ও চুল পড়া কমাতে ব্যায়াম

লবণ বেশি খাওয়ার মারাত্মক প্রভাব

অতিরিক্ত পানি পান করার কুফল

সকালের নাস্তা বাদ নয় কোনোভাবেই