বেছে বেছে কালো দাগযুক্ত কলা খান

কলা এমন একটি ফল যা সারা বছরই পাওয়া যায়। কাঁচা-পাকা, সব রকম কলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ক্ষুধা নিবৃত্তিতে কলার জুড়ি নেই। কিন্তু কলার খোসার কালো দাগ দেখে অনেকে খেতে চান না। অনেক সময় রুচি নষ্ট করে দেয় এই দাগ। তাই দাগহীন কলা খেতে চান অনেকে। তবে সাধারণ কলার চাইতে দাগযুক্ত কলা বেশি গুণসমৃদ্ধ। সম্প্রতি জাপানের একদল বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এমনটাই বলছে।

দাগযুক্ত কলা ক্যান্সার, মাথাব্যথা, রক্তচাপ ইত্যাদি নিরাময়ে কাজ করে। সুতরাং কলায় দাগ দেখে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেখে নিন দাগযুক্ত কলার উপকারিতা-

• কলা ক্যান্সারের এক মহৌষধ। এটি ক্যান্সারের প্রতিরক্ষক। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, দাগযুক্ত কলা ক্যান্সার ও টিউমারের জীবাণু নষ্ট করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
• কলা ঝটপট মাথাব্যথা দূর করে। বদহজম সারাতে কলা সাহায্য করে, কারণ এটি প্রাকৃতিক এসিড। মাথা ব্যথা করছে? একটি দাগযুক্ত কলা খান আর দেখুন মাথাব্যথা সেরে যাবে নিমিষেই।
• রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? কলা খান। কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখুন। এই কাজটিই করতে পারে একটি দাগযুক্ত কলা। প্রচুর পটাশিয়ামের উৎস এবং সোডিয়াম কমাতে সহায়তা করে কলা।
• কালো দাগযুক্ত কলায় ট্রিপটোফেন ও এমিও এসিড থাকে। এগুলো দুশ্চিন্তা কমানো ছাড়াও মনে প্রশান্তি এনে দেয়। ভালো ঘুমেও সাহায্য করে এটি।
• কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, মিনারেলসহ আরো অনেক ভিটামিন রয়েছে। প্রতিদিন কালো দাগযুক্ত কলা শরীরে পর্যাপ্ত পানির উৎস তৈরি করে, এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
• কালো দাগযুক্ত হলেও এসব কলায় উচ্চামাত্রার ক্যালরি থাকে। যা শক্তির অন্যতম উৎস। তাই কাজের খুব চাপ কিংবা দৌড়ঝাপের মাঝে থাকলে দ্রুত একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। এবং সম্ভব হলে অবশ্যই দাগযুক্ত কলা।
• কলাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে। তাই এটি অ্যানিমিয়া চিকিৎসায় উপকারী। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধ-কলা মিশিয়ে খেলে, পুরোপুরি একটি সুষম খাদ্য পাওয়া যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

আলুর যত গুণ

গ্রিন টি খাবেন, তবে বেশি নয়

সস আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না তো?

জেনে নিন জাম্বুরার পুষ্টিগুণ

মেয়েদের হাড় বাঁচাবে এক কাপ দই