বাগেরহাটে রেজিস্ট্রি অফিস ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অনবরত বালু ঝড়ছে, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ব্রিটিশ আমলের কোন এক সময় নির্মিত এই ভবনটি ধসে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চাকরী বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এই অফিসের কর্মীরা হেলমেট পরে অফিস করছেন।
বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা এই অফিসে আসছেন তারা ভবনের অবস্থা দেখে আতঙ্কে ভেতরে প্রবেশ করছেন না। কেউ কাজ ফেলে ফিরে যাচ্ছেন, কেউ আবার কর্মকর্তাদের অফিস ভবনের বাহিরে ডেকে কাজ সাড়ছেন।
গত ২৮ নভেম্বর রেজিস্টার অফিসের কম্পিউটার অপারেটর সামছুল আরেফিনের বসার স্থানে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়লে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
জানা যায়, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও সমস্যা সমাধানের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে অফিস ভবনের জন্য জমি বরাদ্দের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মচারীরা।
বাগেরহাটের সরুই মৌজার ৫৪ শতক জমিতে নির্মিত ভবনটি মূলত বৃটিশ আমলে আদালত হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তী সময়ে নতুন ভবনে আদালত স্থানান্তরিত হলে গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটিকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করে। এরপর নামে মাত্র সংস্কার করে ১৯৯৭ সালে এটি জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও মহাফেজ খানার জন্য বরাদ্ধ করা হয় এবং তারপর থেকে যাবতীয় কার্যক্রম চলতে থাকে।
এর পরবর্তী ২০ বছরে ভবনটির কোন সংস্কার করা হয়নি বললেই চলে। এখন চাকরি টিকিয়ে রেখে প্রাণে বাঁচতে রেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হেলমেটই একমাত্র সম্বল।