ঐক্যফ্রন্ট ও আ.লীগের ‘পাল্টাপাল্টি’ সমাবেশ

চট্টগ্রামের নুর আহমেদ সড়কে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আজ বেলা ২টায় শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ। অন্যদিকে বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সিইপিজেড চত্বরে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দু পক্ষই পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। 

জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আব্দুর রউফ, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। হযরত শাহআমনত মাজার জিয়ারত শেষে তাদের সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

ঐক্যফ্রন্ট জানিয়েছে, শুক্রবার রাতভর পাঁচজন শ্রমিক মঞ্চ তৈরীর কাজ করেন। রাতে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত ও সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কয়েকবার সমাবেশস্থলে এসে মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করেন।

নগর বিএনপির নিসিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের সমাবেশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজকের সমাবেশে প্রায় লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতি হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন।

এদিকে শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) চত্বরে সমাবেশ ডেকেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। তবে চিঠিতে তিনি জাতীয় ঐক্যফন্টের সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেননি তিনি।

নগর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। এর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সমাবেশের নামে ঐক্যফ্রন্টের লোকজন যাতে পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে আমরা পাল্টা সমাবেশ করলেও তা হবে শান্তিপূর্ণ। তাদের চেয়ে আমাদের সমাবেশে লোক সমাগম বেশি হবে- এটা প্রমাণ করতেই সমাবেশ করা হবে।’