রাজধানীর গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টকে ঘিরে একদল বন্দুকধারীর নারকীয় ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। এমন পরিস্থিতিতে গুলশান সংকট এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার পরের দিন ২ জুলাই শনিবার এক বিবৃতিতে এইচ এম এরশাদ এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'কয়েকদিন আগে সরকারকে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ করেছিলাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুণরায় সেই আহ্বান জানাচ্ছি।'
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এরশাদ বলেন, 'ঢাকার কূটনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিত অভিজাত গুলশান এলাকা। এখানকার হলি আর্টিজান বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। যারা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সঙ্গে তাদের শোকাচ্ছন্ন পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।'
এমন ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দূত বলেন, 'উগ্র সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের বিষয়টিকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। শুধুমাত্র ব্যাক্তি নিরাপত্তার মধ্যে সন্ত্রাসবাদকে সীমাবদ্ধ রাখা যাচ্ছে না। সন্ত্রাসবিরোধী এবং নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।'
বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই হামলার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেন এরশাদ। তিনি বলেন, 'দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির সম্মুখীন। সংকট মোকাবেলায় দেশবাসীর ঐক্য এবং সর্বদলীয় অবস্থান অত্যন্ত জরুরি।'
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি ক্যাফেতে গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে একদল বন্দুকধারী আক্রমণ চালায়। প্রথমে তারা বেশকিছু বিদেশী নাগরিকসহ অনেককেই জিম্মি করেন। বন্দুকধারী এবং পুলিশের গোলাগুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে শনিবার সকালে যৌথবাহিনীর অভিযানের পর জানা যায়, সন্ত্রাসীরা ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন, যাদের বেশিরভাগ বিদেশি। এমন ঘটনায় ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।