মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় রাজধানীর একটি হোটেলে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তি সই হয়েছে। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, 'রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে রামপালকে গড়ে তোলা হবে।'
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিকে উভয় দেশের জন্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সাক্ষরের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এবং ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট কনস্ট্রাকশন-ইপিসি (টার্নকি) চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই প্রকল্পের ব্যয় দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট, পরবর্তীতে আরও ১০০ মেগাওয়াট এবং বন্ধুত্বের স্বাক্ষর হিসেবে আরও বিদ্যুৎ পাবো।'
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, আরো অনেকগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে তৈরি হবে। পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং পরবর্তিতে ৩০-৪০ হাজার মেগাওয়াট টার্গেট থাকবে।'
জানা যায়, চুক্তির অর্থায়ন করবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। যার ব্যয় হবে ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।
ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ কুমার পূজারী বলেন, 'নির্দিষ্ট অর্থ ও সঠিক সময়ে কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।'