হতাশ বিএনপি, সরকারের সিদ্ধান্ত ‘অমানবিক’ ও ‘দুর্ভাগ্যজনক’

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হলেও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে সরকারের অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার।

গত ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। নিয়ম অনুযায়ী, নানা আনুষ্ঠানিকতার পর রোববার সরকারের পক্ষ থেকে আবেদনটি গৃহীত না হওয়ার কথা জানানো হয়।

বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রীর ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে দলটি। খালেদার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়ার পর রাতে নিজেদের এ অবস্থানের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় তিনি বলেন, প্রতিহিংসামূলক রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের সরকারি এই সিদ্ধান্তে আমরা নিঃসন্দেহে হতাশ। ১/১১-এর ধারাবাহিকতায় বেগম জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রাখতে এটি করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে দণ্ড মওকুফের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য সরকারের মানবতা, শিষ্টাচার কাজ করেনি। তিনি রাজনীতির শিকার।

এর আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকেও সরকার বিদেশে যাওয়ার সুযোগে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন অসৌজন্যতা দুর্ভাগ্যজনক।

দেশে খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা চলছে, তা যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো মনে হলো। এখন অক্সিজেন ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন, যা উন্নতির লক্ষণ।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে এবার রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তার পরিবারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন বেগম খালেদা জিয়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দুই দফায় নেয়া হয় হাসপাতালে। পরবর্তীতে দুই দিন আগে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ব্যক্তিগত চিকিৎসক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।