স্ত্রীর আবদারে ‘হাতি’ কিনলেন স্বামী!
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
স্ত্রী তুলসী রানী দাস স্বপ্নে ‘দৈব নির্দেশ’ পেয়েছিলেন হাতি পালার। এ জন্য স্বামীরে কাছে হাতি কিনে দিতে আবদার করে বসেন তিনি। আর স্ত্রী স্বপ্ন পূরণে স্বামী দুলাল চন্দ্র রায়ও কিনে নিয়ে আসেন একটি হাতি। উপহার দেন স্ত্রীকে।
এই দুলাল-তুলসী দম্পতির বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রথিধন দেউতি গ্রামে। দুলাল চন্দ্র রায় ওই গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র নাথের ছেলে এবং পেশায় একজন কৃষক। গত সপ্তাহেই তিনি সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে হাতি কিনে বাড়ি ফেরেন।
কয়েক বছর আগে স্বপ্নে পশু পালনের ‘দৈব নির্দেশ’ পান তুলসী রানী দাস। তারপর স্বামীর কাছে সেই দৈব নির্দেশের কথা জানাতেই স্ত্রীকে একটি ঘোড়া, ছাগল ও রাজহাঁস কিনে দেন দুলাল। তারপর সেগুলোর যত্ন ও পালন করতে থাকেন ওই দম্পতি। এক বছর আগে ফের স্বপ্নে ‘দৈব নির্দেশ’ পান তুলসী। এবার হাতি পালনের নির্দেশনা পান। তাই স্বামীর কাছে আবদার করে বসেন হাতি কিনে দেওয়ার।
দুলাল তার স্ত্রীকে এতটাই ভালোবাসেন যে এমন অদ্ভুত আবদার করার পরও সেটি ফেলতে পারেননি। বরং স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে বিক্রি করে দেন ২ বিঘা জমি। নিতে থাকেন খোঁজ-খবর। এক পর্যায়ে মৌলভীবাজারে পেয়েও যান একটা হাতি। যা সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় কিনে নেন তিনি।
জানা যায়, গত সপ্তাহে হাতিটি নিয়ে বাড়ি ফেরেন দুলাল। মৌলভীবাজার থেকে হাতিটি নিয়ে লালমনিরহাট আসতে তাকে শুধু ট্রাক ভাড়াই গুনতে হয় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু হাতি কিনলেই তো হবে না, সেটিকে ঠিকমতো লালন-পালনও তো করতে হবে। তাই হাতির দেখভাল করার জন্য মৌলভীবাজার থেকে একজন মাহুতকেও সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তিনি।
এদিকে কৃষক দুলাল হাতি কিনে বাড়ি ফেরার পর গ্রামজুড়ে হইচই শুরু হয়। সেটি দেখতে প্রতিদিন দুলালের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন মানুষ। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকেও আসেন হাতি দেখতে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা উৎসুক জনতারা বলছেন, স্ত্রী স্বপ্ন পূরণে কেউ এমনটা করতে পারে তা অবিশ্বাস্য। তাই হাতিটি দেখতে এসেছেন তারা।
হাতির মাহুত ইব্রাহীম বলেন, দুলাল চন্দ্র রায়ের হাতিটির দেখভাল তিনিই করছেন। এর জন্য তাকে মাসে ১৫ হাজার টাকা মজুরি দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। আর থাকা-খাওয়া মালিকের বাড়িতেই। তবে তিনি এখানে সারাজীবন থাকবেন না। ওই এলাকার দুজনকে হাতিটির পরবর্তী মাহুত বানানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। তারা হাতির লালন-পালন শিখে গেলেই তিনি মৌলভীবাজার ফিরে যাবেন।
কৃষক দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করতেই হাতিটি কিনেছেন তিনি। হাতিটির পরিচর্যায় যাতে কোনো সমস্যা না হয়, এ জন্য একজন মাহুতও রেখেছেন। হাতিটির খাবারের পেছনে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হচ্ছে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.