যাদের বোন আছে তারা বোনহীন ছেলেদের তুলনায় বেশি মেধাবী

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস পথের পাঁচালীর অপু-দূর্গা’র গল্পই বলে দেয় ভাইবোনের সম্পর্ক কতটা মধুর, কতটা রোমাঞ্চকর। পথের পাঁচালী পড়ার পর বোন নেই যাদের তাদের মন কিছু সময়ের জন্য হলেও বোন না থাকার বিষাদে ছেয়ে থাকতে বাধ্য। মমতাময়ী বোনের ছোঁয়া পেতে হৃদয়ের গহীনে হাহাকার সুর বেজে ওঠবে নিজের অজান্তেই। মনে হবে, বোন থাকা কী সৌভাগ্যের ব্যাপার! যাদের বোন আছে, তারা কত সুখী! কত ভাগ্যবান!

সম্প্রতি এক গবেষণায়ও এমনটি প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, যাদের বোন আছে, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি সৌভাগ্যবান। শুধু তাই নয়, বোন আছে এমন মানুষ যাদের বোন নেই তাদের তুলনায় অনেক বেশি মেধাবী, সৃজনশীল এবং দয়ালু মনের হয়ে থাকে।

ব্রিংহাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রায় চারশো পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে এমনটি নিশ্চিত করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর বোন থাকে না তারা চরম একাকীত্বে ভোগে। এসব শিশু হিংস্র মানসিকতারও হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এরা তুলনামূলক আক্রমনাত্মকও হয়।

অপরদিকে বোন আছে যাদের, তারা খুব নরম মনের হয়। একাকীত্ব তাদের কাবু করে না। বোন থাকার ফলে শৈশব-কৈশোরের নানান সমস্যায় তারা বোন থেকে অনেক বেশি সহযোগিতা পায়। যা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আধুনিক জীবনধারা দম্পতিদের সন্তানবিমুখ করে তুলছে। বেশিরভাগ দম্পতি একটি সন্তানেই সস্তুষ্ট থাকছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই একক সন্তানটি। মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলছে একাকীত্ব নামক জটিল সমস্যা। তাই গবেষকরা মনে করেন, বোন আছে এমন মানুষ, বোন নেই এমন মানুষের তুলনায় বেশি সৌভাগ্যবান।